• শমীকই ভরসা, জোট বাঁধছেন অবহেলিত বিজেপি কর্মীরা
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১০ অক্টোবর ২০২৫
  • দিলীপ ঘোষ পশ্চিম মেদিনীপুরে সক্রিয় থাকাকালীন পুরনো দিনের বহু বিজেপি কর্মী কাজ করার সুযোগ না পেয়ে বসে গিয়েছিলেন। নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য ভোট এলে এই পুরনো বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে অনেকবারই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দিলীপবাবু। কিন্তু জয়ের পর কোনও প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়নি। ফলে দিলীপের উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন পুরনো দিনের ওই বিজেপি কর্মীরা। দলের প্রতি অনুগত বিজেপি কর্মীরা প্রকাশ্যে কখনোই দিলীপের বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি।

    দিলীপ ঘোষ দলীয় রাজনীতিতে কোনঠাসা হয়ে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে সক্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেন পশ্চিম মেদিনীপুরে দলের মধ্যে একঘরে হয়ে থাকা পুরনো দিনের বিজেপি কর্মীরা। শমীক ভট্টাচার্য রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর এই বিজেপি কর্মীরা তৎপর হয়ে উঠেছেন। একদিকে নিজেদের মধ্যে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তাঁরা যেমন বৈঠক করছেন তেমনই দলীয় কর্মসূচিগুলি তাঁরা নিয়মিত পালন করে যাচ্ছেন।

    পুরনো দিনের বিজেপি কর্মীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, জনসংযোগ বাড়াতে তাঁরা বিজয়া সম্মেলনের উপরে জোর দিচ্ছেন। মেদিনীপুর সংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে মেদিনীপুর শহরে রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে বিজয়া সম্মেলন করারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি সমিত মণ্ডল। সমিতবাবু মেদিনীপুরে জেলা বিজেপি কার্যালয়ে বসেন না। তিনি খড়্গপুরে একটি মণ্ডল কার্যালয়ে বসে জেলার কাজকর্ম সারেন। পুরনো বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, জেলা সভাপতি জেলা সদরে দলের জেলা কার্যালয়ে না বসলে সাংগঠনিক কাজকর্ম সঠিকভাবে পালন করা যায় না।

    মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলায় কর্মীরাও সেই অসুবিধের মুখে প্রতি মুহূর্তে পড়ছেন। তাই জেলা সদরে রাজ্য সভাপতির উপস্থিতিতে বিজয়া সম্মেলন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী এক-দু’দিনের মধ্যেই এই বিজয়া সম্মেলনের দিন তারিখ ঘোষিত হবে বলে জানা গিয়েছে। শমীককে ঘিরেই এই কর্মীরা বিজেপি কর্মীদের ভেঙ্গে যাওয়া মনোবল ফিরিয়ে আনা এবং দলীয় কর্মসূচি পালনে জেলা জুড়ে গতি আনার পরিকল্পনা নিয়েছেন। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তুষার মুখার্জি বলেন, ‘আমি জেলার বাইরে আছি। এই বিষয়ে কিছু জানি না। মেদিনীপুরে ফিরলে খোঁজ নিয়ে দেখব।’
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)