‘নবম শ্রেণিরও আগে স্কুলে চাই যৌন শিক্ষা’, ধর্ষণে অভিযুক্ত নাবালককে জামিন দিয়ে বলল সুপ্রিম কোর্ট
প্রতিদিন | ১০ অক্টোবর ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: শুধু নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি নয়, স্কুলে যৌন শিক্ষা চালু করা হোক আরও আগে। এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্তার অপরাধে বন্দি ১৫ বছরের এক পড়ুয়ার জামিনের আবেদনের শুনানিতে এই পর্যবেক্ষণ করল সুপ্রিম কোর্ট। নবম শ্রেণিরও আগে থেকে স্কুলে যৌন শিক্ষা চালু করা উচিত বলে মত শীর্ষ আদালতের।
বয়ঃসন্ধিকালে বিভিন্ন যৌন আগ্রহ ও অন্যান্য বিষয়ে অজান্তেই কিছু অপরাধ করে ফেলে অনেকে। তা ঠেকাতে যৌন শিক্ষা আরও আগে চালু করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি অলোক আরাধের বেঞ্চ শুনানিতে বলে, এই বয়সে শারীরিক নানা পরিবর্তন হয়। এই সমস্যা মেটাতে যৌন শিক্ষা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তা যত দ্রুত চালু করা যায়, তত মঙ্গল। যে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই পর্যবেক্ষণ সর্বোচ্চ আদালতের, তা ২০২৩ সালের অক্টোবরের। সম্ভলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে তারই সহপাঠী যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়। পরবর্তীতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। দায়ের হয় ধর্ষণের অভিযোগ।
এলাহাবাদ হাই কোর্ট অভিযুক্ত নাবালকের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। তারপর বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় ১৫ বছর বয়সি ওই পড়ুয়া। গতমাসেই শীর্ষ আদালত ওই পড়ুয়ার জামিন মঞ্জুর করে। সেই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে হলফনামা তলব করা হয়। যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে যৌনতার পাঠ দেওয়া, পড়ুয়াদের সচেতনতা বাড়ানোর মতো ইস্যুতে হলফনামা চাওয়া হয় শীর্ষ আদালতের তরফে।
গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে যোগীর সরকার জানায়, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এই বিষয়গুলি নিয়ে স্কুলে পড়ানো হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের মতে, নবম শ্রেণিরও আগে থেকে যৌন শিক্ষা চালু করা উচিত স্কুলগুলিতে। কর্তৃপক্ষের উচিত, বর্তমান ব্যবস্থা সংশোধন করা। বয়ঃসন্ধির সময়ে কী কী পরিবর্তন আসে, সেই পরিবর্তন কীভাবে সামলানো যায়, সেই নিয়ে পড়ুয়াদের শিক্ষা দেওয়া উচিত নবম শ্রেণির আগে থেকেই। তবে সরাসরি কোনও নির্দেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।