লোকসভা ভোটের আগে বাড়ি, আর বিধানসভা নির্বাচনের আগে অফিসে ইডি, কী বললেন সুজিত?
হিন্দুস্তান টাইমস | ১০ অক্টোবর ২০২৫
আজ সুজিত বসুর অফিসে হানা দেয় ইডি। এই আবহে রাজ্যের মন্ত্রীর অভিযোগ, রাজনৈতিক ভাবে পেরে না উঠে কেন্দ্রের শাসকদল এজেন্সিকে ব্যবহার করছে। আজ তল্লাশি অভিযান নিয়ে তৃণমূল নেতা এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'আগেও তল্লাশি হয়েছে। আমাদের বাড়িতে এসেছে। কিছু তো পাইনি ওরা। আবার ইডি আসছে। আমার মনে হয়, টার্গেট করছে, এই জায়গাটা বিশেষ করে। এই জায়গায় ওদের লোকজন কিছু নেই। রাজনৈতিকভাবে এটা আক্রমণ হচ্ছে। কেন এটা হচ্ছে, সেটা বুঝতে পারছি আমি। ঠিক আছে ওদের কাজ ওরা করুক।' প্রসঙ্গত, সুজিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি যে সময়ে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছিল। সেইসময় পুরসভায় নিয়োগের সব বরাত পেত অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজোন।
উল্লেখ্য, আজ পুর নিয়োগ মামলার তদন্তে রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী সুজিত বসুর অফিসে ইডি হানা দেয়। জানা গিয়েছে, আজ শহরজুড়ে ১০ জায়গায় হানা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির অফিসাররা। এই ১০ জায়গার মধ্যে অন্যতম হল সল্টলেক সেক্টর ওয়ানের একটি ভবন। সেই বিল্ডিংয়েই নাকি সুজিত বসুর অফিস রয়েছে। এদিকে সল্টলেক ছাড়াও শরৎ বোস রোড, নিউ আলিপুর, ঠনঠনিয়াতেও ইডি হানা দিয়েছে। এর আগে ২০২৪ সালের ১২ জানুয়ারি পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে লেকটাউনে সুজিতের দু’টি বাড়ি এবং দফতরে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল ইডি। সেদিন ১৪ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি এবং সুজিত বসুর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছিলেন অফিসাররা। তার আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ দমদম পুরসভার উপ পুরপ্রধান নিতাই দত্তর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। সেই সময় নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত নথি উদ্ধার হয়েছিল। নিতাইকে পরে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, সুজিত বসু যখন দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন এই নিতাই দত্ত ছিলেন তাঁর সচিব।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথমে তদন্ত চালাচ্ছিল সিবিআই। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআই পুর নিয়োগ দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছিল। স্কুল এবং পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল ব্যবসায়ী অয়ন শীলকে। সেই মামলায় বেইআনি আর্থিক লেনদেনের তদন্ত করতে ইডি তদন্ত শুরু করেছিল। এই মামলায় সিবিআই ইতিমধ্যেই চার্জশিটও দাখিল করেছে সিবিআই। জানানো হয়, অয়ন শীলের মাধ্যমে কলকাতা-সহ ১৬টি পুরসভায় বেআইনি ভাবে চাকরি বিক্রি করা হয়েছিল।