• সুযোগ বুঝে গোপনে মন্দিরের ভিতরেই নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা পঁচাত্তরের পূজারীর, হাড়হিম কাণ্ড রাজ্যে
    আজকাল | ১১ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফের রাজ্যে হাড়হিম কাণ্ড। তামিলনাড়ুর কুম্ভকোনমের কাছে একটি মন্দিরের ভিতরে মাত্র ১৩ বছরের এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে ৭৫ বছর বয়সি এক পুরোহিতকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই শিশুদের যৌন নির্যাতন বিরোধী পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনা ঘিরে রাজ্য জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত মাসে থিরুভালানঝুঝি এলাকার একটি মন্দিরে। মন্দিরটি রাজ্যের হিন্দু রিলিজিয়াস অ্যান্ড চ্যারিটেবল এনডাওমেন্টস দপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন।

    খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত বিশ্বনাথ আইয়ার বেশ কয়েক বছর ধরে ওই মন্দিরের প্রধান পুরোহিত হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অভিযোগ, গত ৮ সেপ্টেম্বর নিগৃহীতা ওই নাবালিকা তার পরিবারের সঙ্গে মন্দিরে পুজো দিতে আসে। সে একাই যখন মন্দিরের প্রণামী বাক্সের কাছে যায়, সেই সুযোগে বৃদ্ধ পুরোহিত তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন।

    ঘটনার পর বিস্তারিত তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় পকসো আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযুক্ত পুরোহিতকে গ্রেপ্তার করা হয়। এক বরিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিক এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি সংবাদনাকে বলেন, "হ্যাঁ, সম্প্রতি মন্দিরের ভিতরে এই ঘটনাটি ঘটেছে। তদন্তে অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হওয়ার পরেই আমরা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছি।"

    প্রসঙ্গত, গত মাসেই মহারাষ্ট্রে আরও এক নৃশংস ঘটনা ঘটেছিল। হবু স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হতে চেয়েছিল যুবক। কিন্তু কিশোরী তাতে রাজি ছিল না। এদিকে ফাঁকা বাড়িতে যৌনতার শখ মাথায় চাপে যুবকের। স্ত্রীর মেজাজ দেখে রেগে লাল হয়ে যায়। অবশেষে কিশোরীকে ধর্ষণ করে, শ্বাসরোধ করে খুন করল সে। বিয়ের আগে হাড়হিম কাণ্ডে শিউরে উঠেছেন সকলে। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পালগড়ে। এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক যুবককে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কিশোরীকে সঙ্গমে লিপ্ত হওয়ার জন্য জোরাজুরি করছিল ওই যুবক। এদিকে যৌনতায় লিপ্ত হতে অনিচ্ছুক ছিল ওই কিশোরী। এর জেরেই কিশোরীকে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে। 

    পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার। বিদালধার গ্রামে ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়েছিল যুবক। এর কয়েক মাস আগেই কিশোরীর সঙ্গে যুবকের বাগদান সম্পন্ন হয়েছিল। কাজের জন্য কিশোরীর বাবা, মা বাইরে গিয়েছিলেন। সেই সময় বাড়ি ফাঁকা ছিল। সেই নির্জনতার সুযোগেই অভিযুক্ত যুবক কিশোরীর সঙ্গে দেখা করতে আসে। 

    ফাঁকা বাড়িতে কিশোরীর সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হতে চেয়েছিল যুবক। কিন্তু তাতে আপত্তি জানায় কিশোরী।‌ এরপরেই কিশোরীকে ধর্ষণ করে সে। তারপর শ্বাসরোধ করে খুন করে পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে কাছের একটি জঙ্গলে গিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল। বাড়িতে ফিরেই মেয়ের নিথর শরীর দেখে আঁতকে ওঠেন বাবা, মা। দ্রুত থানায় অভিযোগ জানানো হয়। যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান কিশোরীর মা। অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে সে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। অন্যদিকে কিশোরীর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। 
  • Link to this news (আজকাল)