ফের আতঙ্ক, আবারও পাহাড়ের রাস্তায় ধস, বন্ধ সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক...
আজকাল | ১১ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: দুর্ভোগ যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না পাহাড়ের। গত শনিবারের ধসে বিপর্যস্ত হয়েছে গোটা পাহাড়। প্রাণও গিয়েছে বহু মানুষের ৷ সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও অনেক৷ সেই রেশ পুরোপুরি কাটেনি। তার মধ্যেই ছন্দে ফেরার চেষ্টায় দার্জিলিং, কার্শিয়াং এবং কালিম্পং। এর মাঝেই পাহাড়ে আবারও ধস।
বৃহস্পতিবার রাতে ধস নামে পশ্চিমবঙ্গ সিকিম লাইফ লাইন দশ নম্বর জাতীয় সড়কে। ধসে রাস্তার বিস্তীর্ণ অংশ ভেঙে খাদে তলিয়ে যায়। এর ফলে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বন্ধ হয়ে যায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক।
২৯মাইলের কাছেও এই ধস নামে। ২৯ মাইল থেকে গেলখোলা পথে এই ধস নেমেছে।
শুক্রবার সকালে ধস সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু সড়কের বিস্তীর্ণ অংশ পুরোপুরি ধসে যাওয়ায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে দ্বিমুখী যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। অন্য রুট হয়ে ঘোড়পথে যাতায়াত চলছে সিকিম এবং বাংলার মধ্যে। এর ফলে সিকিম পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে চার ঘন্টা সময় বেশি লাগছে।
বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ এই ধস নামে। জাতীয় সড়কে বিশাল বড় গর্ত তৈরি হয়। ধ্বসে যায় জাতীয় সড়কের বিস্তীর্ণ অংশ। পুলিশ প্রশাসনের তরফে ধস কবলিত ওই পথে ব্যারিকেড লাগিয়ে দেওয়া হয়। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাহাড় কেটে পথ অন্তত ছয় ফুট প্রশস্ত করতে হবে।
শুক্রবার বিকেলের আগে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে দ্বিমুখী যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ রাস্তা মেরামতির কাজে হাত দিয়েছে। সিকিমে এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রচুর গাড়ি দাঁড়িয়ে অপেক্ষার প্রহর গুণছে, কখন এই সড়ক খুলবে সেদিকেই নজর তাদের।
অতি দ্রুত এবং জরুরি ভিত্তিতে যাদের যাতায়াত প্রয়োজন তারা ঘুর পথে সিকিম থেকে পশ্চিমবঙ্গ এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিকিম গরুবাথান রোড ব্যবহার করে যাতায়াত করছেন। বর্তমানে ২৯ মাইল এর ক্ষতিগ্রস্ত ওই সড়কে কেবলমাত্র ছোট হালকা যানবাহন জরুরি ভিত্তিতে যাতায়াত করতে দিচ্ছে কালিম্পং জেলা প্রশাসন। কোনরকম ভারী যানবাহন আপাতত এই পথে চলবে না বলেই জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।