• এই ব্যথার ওষুধ বাড়াচ্ছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি, জানলে আপনারই লাভ
    আজ তক | ১১ অক্টোবর ২০২৫
  • জ্বর হলে যেমন আমরা প্যারাসিটামল খাই, তেমনি শরীরের ব্যথা বা মাথাব্যথা হলেই অনেকেই সহজে 'ট্রামাডল' নামের ওষুধ খায়। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই জনপ্রিয় ব্যথানাশকটি আসলে মারাত্মক বিপদ ডেকে আনছে? সাম্প্রতিক এক আন্তর্জাতিক গবেষণায় জানা গেছে, ট্রামাডল ব্যথা খুব একটা উপশম করতে না পারলেও এটি হৃদরোগের ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়।

    ট্রামাডল কী এবং কেন বিপজ্জনক
    ট্রামাডল একটি সাধারণ প্রেসক্রিপশন ব্যথানাশক, যা মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা উপশমের জন্য ব্যবহৃত হয়। অনেকেই এটিকে শক্তিশালী ওপিওয়েডের তুলনায় নিরাপদ মনে করেন। কিন্তু নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, এটি কেবল অকার্যকরই নয়, বরং হৃদযন্ত্রের জন্য মারাত্মক হুমকি।

    ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল BMJ Evidence-Based Medicine-এ প্রকাশিত একটি বিশদ গবেষণায় ট্রামাডলের প্রকৃত প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

    গবেষণায় যা উঠে এসেছে
    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫১.৬ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক দীর্ঘস্থায়ী ব্যথায় ভুগছেন।
    গবেষণায় ১৯টি ক্লিনিকাল ট্রায়াল এবং ৬,৫০৬ জন রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
    অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অস্টিওআর্থারাইটিস, নিউরোপ্যাথিক ব্যথা, ফাইব্রোমায়ালজিয়া ও পিঠের ব্যথায় আক্রান্ত রোগীরাও ছিলেন।

    ফলাফল?
    ট্রামাডল সেবনে ব্যথা সামান্য উপশম হলেও তার প্রভাব খুবই সীমিত।
    যাঁরা ট্রামাডল নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে হৃদরোগ, বুকজ্বালা, হার্ট ফেলিওর ও করোনারি ধমনী রোগের ঝুঁকি দ্বিগুণ বেড়েছে।
    এছাড়া দেখা গেছে মাথা ঘোরা, কোষ্ঠকাঠিন্য, তন্দ্রা এবং ক্লান্তির মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও বৃদ্ধি পেয়েছে।

    হৃদযন্ত্রের জন্য বড় হুমকি
    গবেষকরা জানিয়েছেন, ট্রামাডলকে প্রায়ই নিরাপদ বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হলেও, এর দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার হৃদযন্ত্রের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
    বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার জন্য ট্রামাডল সেবন করছেন, অথচ তাঁরা জানেন না যে এই ওষুধ তাঁদের হার্ট অ্যাটাক বা হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

    রোগী ও চিকিৎসকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
    ট্রামাডলের দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার পুনর্মূল্যায়ন করা উচিত।
    ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া হঠাৎ করে ওষুধ বন্ধ করবেন না।

    ব্যথা উপশমের জন্য শারীরিক থেরাপি, হালকা ব্যায়াম, গরম বা ঠান্ডা কম্প্রেস, কিংবা মানসিক থেরাপির মতো বিকল্প পদ্ধতি বিবেচনা করুন। যদি ট্রামাডল ব্যবহার করতেই হয়, তবে অল্প মাত্রায় এবং স্বল্প সময়ের জন্যই গ্রহণ করুন।
    হার্টের সমস্যা থাকলে নিয়মিত ইসিজি ও কার্ডিয়াক চেকআপ করানো জরুরি।

     
  • Link to this news (আজ তক)