বরানগর ডাকাতি-হত্যাকাণ্ডে এবার বিহার যোগ! গ্রেপ্তার হামলার মূল চক্রী-সহ ২
প্রতিদিন | ১১ অক্টোবর ২০২৫
অর্ণব দাস, বারাকপুর: বরানগরে সোনার দোকানে ডাকাতি ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এবার বিহার যোগ। শুক্রবার দুপুরে বিহারের জামুই থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সম্পর্কে তারা বাবা-ছেলে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৪ অক্টোবর ভরদুপুরে বরানগরে সোনার দোকানে ডাকাতির পরিকল্পনা ধৃত বাবা-ছেলের মস্তিষ্কপ্রসূত। হামলা চালিয়েছিল ছেলেই। এরা আবার ধৃত জেলবন্দি রাকেশ দাসের আত্মীয়। ঘটনার পর দু’জনে গা ঢাকা দিয়েছিল বিহারে। সেখানে তাদের গ্রেপ্তার করে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হচ্ছে কলকাতায়।
গত ৪ অক্টোবর বরানগরের শম্ভুনাথ দাস লেনের ‘সরস্বতী চেন অ্যান্ড অর্নামেন্টস’ নামে সোনার দোকানে ভরদুপুরে হামলা চালিয়ে সোনার গয়না লুটপাট করে দুষ্কৃতীদল। তাতে বাধা দেওয়ার নৃশংসভাবে খুন হতে হয় শংকর জানা নামে এক ব্যবসায়ীকে। তাঁর মাথার পিছনে গুরুতর আঘাত করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এই হামলার নেপথ্যে আগেই ভিনরাজ্যের যোগ পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এবার মিলল বিহারের সূত্র। হামলাকারী হিসেবে জামুই থেকে গ্রেপ্তার করা হল প্রিন্স দাস ও রঞ্জিত দাসকে। তারা সম্পর্কে বাবা-ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, শম্ভুনাথ দাস লেনের ষাটোর্ধ্ব স্বর্ণ ব্যবসায়ী শংকর জানাকে খুনের ঘটনায় প্রিন্সই মূল হামলা চালিয়েছিল বলেই অভিযোগ। আর লুটের কয়েক কেজি সোনা ধৃত পাঁচু সামন্তকে বিক্রি করে প্রথম দফায় লক্ষাধিক টাকা রঞ্জিত লুকিয়ে রেখেছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা জানিয়েছেন, “ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হচ্ছে।” ধৃত বাবা-ছেলেকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর ডাকাতির সোনা ও তা বিক্রির টাকা উদ্ধারের বিষয়টি অনেকটাই মসৃণ হবে বলে মনে করছেন বারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা। তবে সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করে ডাকাতির ২ কেজি সোনা উদ্ধার করেছে পুলিশ।