রাজ্যের মর্যাদা: চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট
বর্তমান | ১১ অক্টোবর ২০২৫
নয়াদিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফেরানো নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কী ভাবছে, জানাতে চার সপ্তাহ সময় বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট। তার মধ্যেই কেন্দ্রকে এই নিয়ে বক্তব্য জানাতে হবে। ২০১৯ সালে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পরই জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তারপর রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর জন্য জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দারা বারবার দাবি জানালেও, বিভিন্ন যুক্তি দেখিয়ে তাতে কর্ণপাত করেনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে একঝাঁক মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলাগুলির শুনানি ছিল। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি চলাকালীন জানায়, জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফেরানো নিয়ে সমস্ত বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এর জন্য কেন্দ্রের পরামর্শও প্রয়োজন। এই প্রসঙ্গে পহেলগাঁও হামলার প্রসঙ্গের কথাও তোলে আদালত। আবেদনকারীদের মধ্যে অন্যতম শিক্ষাবিদ জহুর আহমেদ ভাট ও সমাজকর্মী আহমেদ মালিক আদালতে জানান, জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা কবে ফেরানো হবে, তা দ্রুত জানাক কেন্দ্র। কেন্দ্রের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা পালটা জানান, রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা চলছেই। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত জানায়, চার সপ্তাহের মধ্যেই এই নিয়ে কেন্দ্রকে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। এদিন এক আবেদনকারীর আইনজীবী গোপাল শংকরনারায়ণ তাঁর সওয়ালে জানান, একটি রাজ্যকে কখনই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিবর্তিত করা যায় না। এটা সাংবিধানিক প্রশ্নের বিষয়। বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের মর্যাদা ফেরানো নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচনের পর এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর কোনও ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে না। বিধায়ক ইরফান হাফিজ লোনের তরফে আইনজীবী মেনকা গুরুস্বামী প্রশ্ন তোলেন, এভাবে যদি কোনও রাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করে দেওয়া হয়, তাহলে ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর কী হবে? তুষার মেহতা জানান, এটা একটি অভিনব সমস্যা। তাই বেশ কিছু বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন।