নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বিগত বাজেটেই কর্পোরেট এবং ব্যক্তিগত আয়করে একঝাঁক ছাড় ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। এরপর গত মাসে জিএসটি সংস্কার করে দু’টি ধাপ বাতিলই করে দেওয়া হয়েছে। দুয়ে মিলে মোদি সরকারের দাবি যে, মধ্যবিত্তকে এত বড় সুরাহা অতীতে কোনও সরকার দেয়নি। ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়েও আয়কর ছাড় দেওয়া হয়েছে, আবার ১২ এবং ২৮ শতাংশের জিএসটির দুই ধাপ অবলুপ্ত করে মধ্যবিত্তের সংসার খরচও কমিয়ে দিয়েছে। বস্তুত মধ্যবিত্তকে মোদি সরকার যে বড়সড় স্বস্তি দিয়েছে, সেই দাবি জানিয়েছে বিহারের নির্বাচনেও ইতিমধ্যে প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু মোদি সরকারের নীতি নির্ধারণককারী এবং দিশা নির্দেশকারী থিঙ্ক ট্যাঙ্ক নীতি আয়োগ শুক্রবার তাদের আর্থিক পলিসি পেপার প্রকাশ করে বলেছে, করকাঠামো আরও সহজ এবং ঝামেলাহীন করতে হবে। কর্পোরেট অথবা সাধারণ মানুষ যেন কর প্রদানে কোনওরকম আতঙ্ক অনুভব না করে। আর এজন্য নীতি আয়োগের পলিসি পেপারে বলা হয়েছে, আইনিভাবে ছোটোখাটো কর ফাঁকি বা প্রতারণাকে যেন অপরাধ হিসেবে গণ্য করা না হয়। নীতি আয়োগ মনে করে নোটিশ পাঠানো, জরিমানা দেওয়ার আওতায় নিয়ে আসা হোক এই জাতীয় কর ফাঁকিকে। সেক্ষেত্রে করদাতার সঙ্গে সরকারের আতঙ্কের সম্পর্ক তৈরি হবে না। তাই কর কাঠামোকে আরও সহজ করতে হবে। তাহলে বাণিজ্যও আরও সহজ হবে। এদিন প্রকাশিত পলিসি পেপারে নীতি আয়োগ সরকারকে মনে করিয়ে দিয়েছে যে, জনসাধারণের সঙ্গে, শিল্পমহলের সঙ্গে, করদাতার সঙ্গে সরকারের আস্থার সম্পর্ক থাকা উচিত। কর সংক্রান্ত জটিলতাকে আইনের আওতা থেকে মুক্ত করা হলে বাণিজ্য ও শিল্পলগ্নির জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হবে বলে মনে করছে নীতি আয়োগ। আর সাধারণ করদাতাদের ক্ষেত্রে কোনও ট্যাক্স কাঠামোর সমস্যা সরকার সংবেদনশীলতার সঙ্গে বিচার করবে, এমন আশ্বাস ও বার্তা দেওয়া দরকার। সোজা কথায় নীতি আয়োগ মনে করছে, ট্যাক্স নিয়ে করদাতাদের ভয় দেখানো বন্ধ করুক সরকার।