• নতুন করে সব সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নবান্নের
    বর্তমান | ১১ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ভেঙে পড়েছে মিরিকের দুধিয়া সেতু। আর তার পরেই নতুন করে রাজ্যের সমস্ত সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। শুক্রবার ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ শিবির নিয়ে প্রত্যেক জেলাশাসকের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। রাজ্যের সেতুগুলি পূর্ত, সেচ, পুর ও নগরোন্নয়ন এবং পঞ্চায়েত দপ্তরের অধীনে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরকেই তাদের আওতায় থাকা সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, এবছর গোটা রাজ্যেই রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই অবস্থায় সেতুগুলির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট হাতে থাকলে  আগেভাগে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব। 

    সেই সঙ্গে এদিনের বৈঠকে প্রাধান্য পেয়েছে উত্তরবঙ্গের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর পুনর্গঠনের কাজ। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নষ্ট হওয়া নথিপত্র নতুন করে তৈরি করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিপর্যয় মোকাবিলা, সেচ, স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, পূর্ত, কৃষি সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সচিবরা। দুর্গত এলাকায় ‘আমাদের পাড়া…’ শিবিরে আসা মানুষজনের নথি না থাকলে প্রশাসনকেই উদ্যোগ নিয়ে তা তৈরি করে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। রাস্তাঘাট সংস্কারের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে পূর্তদপ্তর। বাঁধ সংস্কারের কাজও শুরু করেছে সেচদপ্তর। এই সমস্ত কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। জল নামার সময় ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিতে পারে। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    এদিকে, ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ প্রকল্পে যেসব জেলা কাজের অনুমোদন এবং দরপত্র ডাকার কাজে পিছিয়ে রয়েছে, তাদের গতি আনতে বলা হয়েছে। জানুয়ারি মাসের মধ্যেই যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে, সেই বিষয়টিও এদিনের বৈঠকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ‘আমাদের পাড়া…’ ক্যাম্পের সঙ্গে চলা ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে জমা পড়া আবেদনপত্র খতিয়ে দেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিষেবা নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যের সব ক’টি ‘আমাদের পাড়া…’ শিবির মিলিয়ে আসা মানুষের সংখ্যা ২ কোটি ১৯ লক্ষ ২৫ হাজার ২৪২। মোট শিবিরের সংখ্যা ২৮,০৯৩। এই প্রকল্পে নির্ধারিত শিবিরের সংখ্যা রয়েছে ৩১ হাজার ৭২৮। ৩ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় এই শিবির চলবে। সেখানে অক্টোবর মাসেই শিবিরের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ায় আরও বেশি ক্যাম্প আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে নবান্ন। 
  • Link to this news (বর্তমান)