নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: দেগঙ্গায় শরিফুল ইসলামকে খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে ধৃত ইসমাতারা বিবি ও মহাদেব ঘোষ ওরফে মনাকে নিয়ে গিয়ে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে পুলিশ। শরিফুল ইসলামকে কীভাবে খুন করা হয়েছিল। খুনের পর কোথায় দেহ ফেলা হয়, নিহতের মোবাইল, টর্চ ও লুঙ্গি কোথায় ফেলে দেওয়া হয় তা অভিযুক্তরা দেখিয়েছে পুলিশকে। পুনর্নির্মাণের মধ্যেই অবশ্য নিহতের পরিবার এবং প্রতিবেশীরা তিন অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিতে সরব হন। একসময় উত্তেজনা এমন পর্যায়ে পৌঁছয়, যে অভিযুক্ত ইসমাতারাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন বাসিন্দারা। তাঁরা মারমুখী হয়ে ওঠেন। পুলিশ যদিও তা আটকে দেয়।
শুক্রবার সাড়ে এগারোটায় থানা থেকে খুনে অভিযুক্তদের নিয়ে বের করে পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনার খবর আসতেই মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ ও র্যাফ। প্রথমে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় ইসমাতারার বাড়ির পিছনে পুকুরের ধারে। সেখানেই শরিফুলকে খুন করা হয়েছিল। কীভাবে ইসমাতারা, মনা ঘোষ ও সফিকুল মিলে শরিফুলকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সেটা পুঙ্খানুপুঙ্খ দেখিয়েছে তারা। খুনের পর শরিফুলের লুঙ্গি ইসমাতারার নির্দেশে মনা ঘোষ পুকুরের কোথায় ফেলেছিল, সেটাও পুলিশকে দেখিয়ে দিয়েছে। পুকুরের ওই অংশে স্থানীয়দের নামিয়ে পুলিশ নিহতের লুঙ্গি উদ্ধার করেছে। এরপর দেহ উদ্ধার হওয়ার জায়গায় দুই অভিযুক্তকে নিয়ে আসে পুলিশ। মনা ও সফিকুল মিলে কীভাবে দেহ নিয়ে গ্রামের পার্কের কাছে ফেলেছিল সেটাও দেখিয়েছে পুলিশকে। খুনের পর শরিফুলের মোবাইল থেকে মনা ব্যাটারি ও সিম কার্ড খুলে ফেলেছিল। দেহ উদ্ধারের ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৪০০ মিটার দূরের একটা পুকুরে নিহতের মোবাইল ও টর্চ ফেলে দিয়েছিল। তাদের কথা অনুযায়ী পাম্প লাগিয়ে পুকুরের জল তুলে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করে পুলিশ। তবে টর্চ উদ্ধার হলেও মোবাইল উদ্ধার হয়নি।