কালীপুজোর জন্য ২০ থেকে ২৩ অক্টোবর জাতীয় সড়কে নো এন্ট্রি, দুপুর থেকে রাত যান নিয়ন্ত্রণ, ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা
বর্তমান | ১১ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: কালীপুজো নিয়ে বারাসতের রবীন্দ্রভবনে শুক্রবার প্রশাসনিক বৈঠক হয়। তারপর বেশ কিছু সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে পুলিশ। জানানো হয়েছে, ২০ থেকে ২৩ অক্টোবর প্রতিদিন দুপুর দু’টো থেকে রাত দু’টো পর্যন্ত জাতীয় সড়কে নো এন্ট্রি থাকবে। এই কারণে অফিস ছুটির পর বাড়ি ফিরতে কার্যত নাজেহাল হতে হবে আশঙ্কা বারাসতের বাসিন্দাদের। এ নিয়ে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। কালীপুজোর সময় সে ক্ষোভের বিস্ফোরণ হতে পারে বলে এখনই আঁচ পাওয়া যাচ্ছে।
বারাসতে কালীপুজো ঘিরে বিস্তর জাঁকজমক হয়। পুজোর সময় আলোয় ভেসে যায় শহর। কিন্তু বিকেলের পর নিজের বাড়ি ঢুকতে নাজেহাল হতে হয় মানুষকে। এ বছরও জাতীয় সড়ক নির্দিষ্ট সময় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত সমস্যা তৈরি করবে বলে তৈরি হয়েছে প্রবল আশঙ্কা। জানা গিয়েছে, শহরের অধিকাংশ পুজো মূলত ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া হওয়ায় ডাকবাংলো থেকে ময়না পর্যন্ত দুপুরের পর থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে। সন্ধ্যা গড়াতেই জাতীয় সড়ক কার্যত দর্শনার্থীদের দখলে চলে যায়। লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় সামাল দিতে ট্রাফিক ব্যবস্থাকে এ বছর ঢেলে সাজার উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ। দুর্ঘটনা এবং যানজট এড়াতে শহরে ঢোকার পথে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কলকাতাগামী দূরপাল্লার বাস জাগুলিয়া থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গগামী বাস চলাচল করবে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে। জাতীয় সড়কের ধারে স্টল, ওভারহেড গেট না করার সুপারিশ করেছে পুলিশ। পাশাপাশি জানিয়েছে, মণ্ডপের বাইরে গেটের সামনে মেলা করা যাবে না। প্রবেশ পথের তুলনায় বাহির পথ বড় রাখতে হবে। মণ্ডপে রাখতে হবে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা। এই নির্দেশ দিয়েছেন বারাসত পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার অতীশ বিশ্বাস। পাশাপাশি পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া বলেন, ‘দর্শনার্থীদের চাপ বেশি হলে কয়েক ঘণ্টা জাতীয় সড়ক বন্ধ রাখা হবে। অফিস ফেরতা বাসিন্দাদের বাড়ি পৌঁছতে যাতে সমস্যা না হয় তার জন্য আধার কার্ড ও কর্মক্ষেত্রের পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে বলা হচ্ছে।’ রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, ‘ডাকবাংলো মোড় থেকে হেলাবটতলা মোড় পর্যন্ত জাতীয় সড়ক অপ্রশস্ত। দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়লে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে।’