• বন্যায় হারানো জরুরি নথি ফেরাতে আলিপুরদুয়ারে ভ্রাম্যমাণ ক্যাম্প খুলল পুলিশ
    প্রতিদিন | ১১ অক্টোবর ২০২৫
  • রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: রাজ্যে ভোটার তালিকায় এস আই আর ( স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিউ) শুরু হয়েছে। এনআরসি আতঙ্কে কাঁপছে বাংলা। এরই মধ্যে উত্তরে ভয়াবহ হড়পা বান। ভুটান থেকে আসা নদীর জলের প্রবল তোড়ে ভেঙেছে বাড়িঘর-সহ সব কিছু। জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষদের বাড়িঘর, বাসনপত্রের সঙ্গে  ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড ও আধার কার্ডের মতো নানান নথিপত্রও। দুর্গত মানুষজন এখন কোনদিকে যাবেন? বাড়ি ঘর সামাল দেবেন নাকি থানায় গিয়ে হারিয়ে যাওয়া নথিপত্রের অভিযোগ জানাবেন? তাঁদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে বন্যা দুর্গত এলাকাগুলিতে একাধিক ভ্রাম্যমাণ পুলিশ ক্যাম্পের আয়োজন করেছে জেলা পুলিশ।

    সেসব ভ্রাম্যমাণ পুলিশ ক্যাম্পে বন্যা কবলিত মানুষদের হারিয়ে যাওয়া নথিপত্রের জন্য মিসিং ডায়রি নেওয়া হচ্ছে। রীতিমতো রেজিস্ট্রার করে নথিপত্র হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগ নিচ্ছে পুলিশ। ভ্রাম্যমান এই সব পুলিশ ক্যাম্পে অভিযোগ গ্রহণ করে রিসিভ কপিও দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “দুর্গত মানুষদের এই সময় থানায় এসে হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগ জানানো খুবই কষ্টকর বিষয়। আর সেই কারণে আমরা এলাকায় এলাকায় ভ্রাম্যমাণ শিবির শুরু করেছি। সেই সব শিবিরেই মানুষজন তাদের হারিয়ে যাওয়া জিনিস নিয়ে মিসিং ডায়রি বা জি ডি জমা করতে পারবেন। এই শিবির এখন চলবে।”

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের শালকুমার ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের জলদাপাড়া, নতুন পাড়ায় এই ভ্রাম্যমাণ শিবির হয়েছে। এই সব শিবিরগুলিতে বন্যা দুর্গত মানুষদের লম্বা লাইনও দেখা গিয়েছে। নতুন পাড়ার বাসিন্দা বিলাস বর্মন বলেন, “ শুধু আমার নিজের ভোটার কার্ডটা আমার পকেটে থাকায় সেটা আছে। তাছাড়া আমার স্ত্রী ও বাচ্চাদের রেশন কার্ড, আধার কার্ড সব নথি ভেসে গিয়েছে জলে। আমাদের কাছে কোনও জেরক্স কপিও নেই। তাই ক্যাম্পে এসে জি ডি করলাম। থানায় গিয়ে এই সময় এই অভিযোগ জানানো আমাদের পক্ষে অসম্ভব ছিল। তাই পুলিশের এই ক্যাম্প খোলায় খুব ভালো হয়েছে।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)