• ৩০ মিনিটেই ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি! ভাসল কলকাতা
    এই সময় | ১১ অক্টোবর ২০২৫
  • এই সময়: উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘনিয়ে উঠছে একটি ঘূর্ণাবর্ত — এমন পূর্বাভাস ছিল হাওয়া অফিসের। ওই ঘূর্ণাবর্ত শুক্র–শনিবার কলকাতা–সহ দক্ষিণবঙ্গের অনেকটা এলাকা জুড়ে বৃষ্টি নামাতে চলেছে — এমন আভাসও ছিল। কিন্তু সেই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে অতি দ্রুত মেঘ জমে শুক্রবার ভরদুপুরে শহরের আকাশে যে আঁধার নামবে, এমনটা জানাননি আবহবিদরা। সেই দ্রুত জমে ওঠা মেঘ মাত্র আধ ঘণ্টায় প্রায় ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি নামিয়ে মহানগরকে নাস্তানাবুদ করল।

    দক্ষিণ–পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এ বার তার বিদায়বেলায় কলকাতায় মরশুমের সপ্তম ভারী বৃষ্টি নামাল। কলকাতা ও শহরতলির বিভিন্ন প্রান্তে এ দিন বেলা আড়াইটে থেকে পৌনে ৩টের মধ্যে বৃষ্টি নামে। জোরালো বৃষ্টির পর্ব চলেছে খুব বেশি হলে আধ ঘণ্টা থেকে ৪৫ মিনিট। কিন্তু বৃষ্টির প্রাবল্যে ওই অল্প সময়ের মধ্যেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় জল জমে নাজেহাল হলেন পথচারীরা।

    ৪ অক্টোবরের পর ১০ অক্টোবর। এক সপ্তাহের মধ্যেই দ্বিতীয় ভারী বৃষ্টি পেল মহানগর। সেটাও এমন এক সময়ে যখন জলীয় বাষ্পের ভাণ্ডার উজাড় করে এই মরশুমের জন্য দেশ থেকে বিদায় নিতে শুরু করেছে মৌসুমি বাতাস। আবহবিদদের ধারণা, আর চার–পাঁচ দিনের মধ্যেই বাংলা থেকেও বর্ষা বিদায় নিতে চলেছে। শুক্রবার সন্ধেয় আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর দৈনিক আবহাওয়ার যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তার ভিত্তিতে বলা যায় এ দিন শহরে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৬৯.৫ মিমি।

    আবহাওয়া বিজ্ঞান অনুযায়ী কোনও এলাকায় ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৬৫ মিমি বৃষ্টি হলে তাকে ‘ভারী বৃষ্টি’ বলে উল্লেখ করা যেতে পারে। সেই হিসেবে জুন থেকে এ পর্যন্ত কলকাতায় সাতবার ভারী বৃষ্টির ঘটনা ঘটল। এর মধ্যে অবশ্য রয়েছে ২২ সেপ্টেম্বর রাতের ‘ক্লাউডবার্স্ট’ বা মেঘভাঙা বৃষ্টির ঘটনাও। হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৪ অক্টোবর শহরে ৭০.৭ মিমি বৃষ্টি হয়েছিল। সেটাই ছিল শহরে শেষ ভারী বৃষ্টির নজির। এর পরই বঙ্গোপসাগরে নতুন করে ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি এবং ফের ভারী বৃষ্টি।

    অক্টোবরে ভারী বৃষ্টির ঘটনাকে অবশ্য ‘ব্যতিক্রমী’ বলতে নারাজ আবহবিদরা। পুনের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্যাল মিটিওরোলজি–র (আইআইটিএম) রেকর্ড অনুযায়ী, অক্টোবরের কলকাতা ১৭৯.৬ মিমি বৃষ্টি পায়। শুক্রবার দুপুরের পর শহর এ মাসে এখনও পর্যন্ত ১৯১.৭ মিমি বৃষ্টি পেয়েছে। আবহবিদরা জানাচ্ছেন, আজ শনিবারও কলকাতা–সহ দক্ষিণবঙ্গে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। তবে রবিবার থেকেই আকাশ ক্রমশ পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • Link to this news (এই সময়)