স্থানীয় বিবাদকে কেন্দ্র করে মারধরে মৃত্যু হল এক যুবকের। সোনারপুর ২ পঞ্চায়েতের শীতলা এলাকার এই ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নারায়ণ রায়কে। নারায়ণ মারধরে যুক্ত ছিলেন বলেই অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রঞ্জিত মণ্ডল (৩৫)। তিনি ওই এলাকারই বাসিন্দা। ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার রাতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে রঞ্জিত ব্যক্তিগত কাজে যাওয়ার কথা বলে এলাকার এক দোকানির থেকে তাঁর সাইকেল চান। দোকানি প্রথমে সাইকেল দিতে চাননি। পরে রঞ্জিতের চাপে সাইকেল দেন তিনি। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পরে রঞ্জিত ফিরলেও, সাইকেল নিয়ে আসেননি। দোকানি জিজ্ঞেস করায় সাইকেল নিয়ে যাওয়ার কথা অস্বীকার করেন তিনি। সন্তোষ জানা নামে ওই দোকানি বলেন, “যখন সাইকেল নিতে আসে, তখন সুস্থই ছিল। পরে যখন ফিরে এল, তখন দেখি মত্ত অবস্থায়। সাইকেল নিয়ে যাওয়ার কথা অস্বীকার করে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রঞ্জিতের বিরুদ্ধে আগেও নেশা করা, ছুরি নিয়ে হামলার অভিযোগ ছিল। সে দিনও স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ করলে ছুরি নিয়ে হামলার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে গোলামাল হয়। রঞ্জিতের সঙ্গে প্রথমে বচসা পরে হাতাহাতি লেগে যায় এলাকার কয়েক জনের। রঞ্জিতকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সেখানেই ছিলেন পঞ্চায়েত সদস্য নারায়ণও। পরদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় রঞ্জিতের।
এর পরেই নারায়ণ-সহ চার জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন রঞ্জিতের পরিজনরা। তদন্তে নেমে নারায়ণকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকিদের খোঁজ চলছে। নারায়ণ স্থানীয় বিধায়ক লাভলি মৈত্রের ঘনিষ্ঠ নেতা বলে অভিযোগ তুলে বিষয়টি নিয়ে সরব হন বিরোধীরা। আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ তোলেন। সোনারপুর ২ পঞ্চায়েতের প্রধান রবিন সর্দার বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। আইন আইনের পথে চলবে। কেউ দোষী হলে শাস্তি পাবেন।” পুলিশ জানিয়েছে, কী ঘটেছিল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রঞ্জিতের বিরুদ্ধে দুষ্কর্মের পুরনো অভিযোগ রয়েছে বলেওজানিয়েছে পুলিশ।