• নতুন রিপোর্ট: বাড়ছে আর্থিক অপরাধ, বকেয়া তদন্ত ও বিচার
    আনন্দবাজার | ১১ অক্টোবর ২০২৫
  • রাজ্যে জালিয়াতি, প্রতারণা-সহ আর্থিক অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু সেই তালে তদন্ত এবং বিচারের অগ্রগতি হচ্ছে না। তার ফলে বাড়ছে বকেয়া মামলার সংখ্যা। বিচারেও দোষী সাব্যস্তের হার অত্যন্ত কম। সম্প্রতি ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড (এনসিআরবি) ব্যুরো প্রকাশিত ‘ক্রাইম ইন ইন্ডিয়া-২০২৩’ রিপোর্টে এই তথ্য সামনে এসেছে।

    ওই রিপোর্ট অনুসারে পশ্চিমবঙ্গ আর্থিক অপরাধের নিরিখে দেশের ষষ্ঠ স্থানে কিন্তু বকেয়া মামলার নিরিখে দেশে চতুর্থ। তদন্তের ক্ষেত্রেও বকেয়ার হার বেশি।

    এনসিআরবি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে ২০২৩ সালে ১১৮৭১টি আর্থিক অপরাধের মামলা হয়েছে। ২০২১ এব‌ং ২০২২ সালে মামলার সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১০৭৫০ এবং ১১৫৬৪। এই সব মামলা প্রতারণা, জালিয়াতি, বিশ্বাসভঙ্গ, জাল নোট ও নথি তৈরি ইত্যাদি সংক্রান্ত বলে খবর। আর্থিক অপরাধ সংক্রান্ত মামলার ক্ষেত্রে ২০২৩ সালে শীর্ষে আছে রাজস্থান (২৭৬৭৫)। তার পরেই আছে তেলঙ্গানা (২৬৮৮১) এবং উত্তরপ্রদেশ (২৩৪২৮)। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালের শেষে পশ্চিমবঙ্গে ১৪৫১১টি আর্থিক অপরাধের তদন্ত বকেয়া ছিল। ২০২৩ সালে তার সঙ্গে আরও ১১৮৭১টি মামলা যোগ হয়। এর মধ্যে ৮৭৮০টি মামলায় চার্জশিট জমা দিতে পেরেছে পুলিশ।

    তবে ২০২৩ সালের শেষে পুলিশের হাতে ১৫৬০৪টি মামলা বকেয়া। এই বকেয়ার হার ৫৯ শতাংশ।

    নিম্ন আদালতেও বিচারের জন্য আর্থিক অপরাধের বহু মামলা জমে আছে পশ্চিমবঙ্গে। এনসিআরবি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালের শেষে ৭১৩৬৩টি আর্থিক অপরাধের মামলা জমে ছিল কোর্টে। ২০২৩ সালে আরও ৮৭৮০টি মামলা বিচারের জন্য গিয়েছিল। এই মোট ৮০১৪৩টি মামলার মধ্যে ৮৪৮টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে কোর্টে। এর মধ্যে দোষী সাব্যস্তের হার ৭.১ শতাংশ।

    সংখ্যার বিচারে ৬০টি মামলায় অপরাধী সাজা পেয়েছে। ২০২৩ সালের শেষে রাজ্যের নিম্ন আদালতে ৭৯২৯৯টি মামলা জমে ছিল। মামলা বকেয়া থাকার হার ৯৮.৯ শতাংশ। যদিও অনেকেই এই প্রসঙ্গে বলছেন, দেশের অধিকাংশ রাজ্যেই আর্থিক অপরাধের ৯০ শতাংশ মামলার বিচার বকেয়া আছে। হাতেগোনা কয়েকটি রাজ্যে বকেয়ার হার ৮০শতাংশের নীচে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)