• হাতে কাগজ না-থাকলেই নাম বাদ নয়, নিচুতলায় গিয়ে তথ্য যাচাই করতে হবে, কোলাঘাটে কমিশনের বৈঠকে নির্দেশ
    আনন্দবাজার | ১১ অক্টোবর ২০২৫
  • হাতে কাগজ না থাকলেও কারও নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া যাবে না। আগে ভাল করে তথ্যাবলি যাচাই করতে হবে। পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটে নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে এমনটাই নির্দেশ পেলেন বুথ লেভেল আধিকারিকেরা (বিএলও)। বৃহস্পতিবার কোলাঘাটের বলাকা মঞ্চে পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকু়ড়া এবং ঝাড়গ্রামের প্রায় পাঁচ শতাধিক বিএলও-কে নিয়ে বৈঠক করেছে কমিশন। ছিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজ কুমার আগরওয়াল এবং এই তিন জেলার জেলাশাসক। বিহারে যে পদ্ধতি মেনে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (এসআইআর) হয়েছে, বাংলাতেও সেই পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে, জানিয়েছে কমিশন। তবে গণহারে নাম ছেঁটে ফেলা যাবে না, সেই বার্তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

    বৈঠকে কমিশন জানিয়েছে, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের বৈধ ভোটার হিসাবেই বিবেচনা করা হবে। ওই তালিকাকে বৈধ হিসাবে মান্যতা দেবে কমিশন। যাঁদের ওই তালিকায় নাম নেই, তাঁদের কমিশন নির্ধারিত প্রামাণ্য নথিগুলির যে কোনও একটি জমা দিতে হবে। শুধু আধার কার্ডকে প্রামাণ্য নথি হিসাবে বিবেচনা করা হবে না। কারও কাছে আধার কার্ড থাকলে তার সঙ্গে অন্য কোনও নথির সংযোগ (লিঙ্ক) থাকতে হবে। সিইও জানিয়েছেন, কোনও বৈধ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না। তা নিশ্চিত করতে বুথ স্তরে গিয়ে কাজ করতে হবে বিএলওদের।

    পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজি বৈঠক চলাকালীন বিএলওদের বলেন, ‘‘২০০২ সালের তালিকায় নাম না-থাকা কোনও ভোটার যদি প্রামাণ্য নথির একটিও দেখাতে না-পারেন, তৎক্ষণাৎ তাঁর নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না। বিএলওরা নিচু তলায় গিয়ে তথ্য যাচাই করবেন। কোন পরিস্থিতিতে কেন তাঁর কাছে নথি নেই, তা দেখতে হবে। প্রয়োজনে পরিবার ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খোঁজ নিতে হবে।’’ বিহারের এসআইআর-এ প্রায় ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে। তা থেকে ‘শিক্ষা’ নিতে চাইছে কমিশন। বাংলার ক্ষেত্রে আরও সাবধানে পা ফেলতে চাইছে তারা। ফলে সেই অনুযায়ী বিএলওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নাম বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলায় আরও সতর্ক থাকবে কমিশন।

    বিহারে তিন মাসের মধ্যে এসআইআর সম্পন্ন হয়েছে। বাংলায় কতটা সময় লাগতে পারে, তা নিয়ে স্পষ্ট করে কোনও মন্তব্য করেননি সিইও। তিনি বলেন, ‘‘কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ যাবে না। এটা কমিশনের নির্দেশ। বিভিন্ন বিষয়ে বিএলওদের সংশয় ছিল, আমরা আজকের (বৃহস্পতিবার) বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আধার কার্ড নিয়ে যা আইন আছে, তা মানতে হবে। যাঁর কাছে শুধু আধার কার্ড আছে, কোনও না কোনও নথির সঙ্গে তার লিঙ্ক থাকবে। অসুবিধা হবে না।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)