• বড় পদক্ষেপ পুলিশের, হরিয়ানায় আইপিএস আত্মহত্যা মামলায় নাম জড়াতেই বরখাস্ত রোহতকের পুলিশ সুপার ...
    আজকাল | ১১ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: হরিয়ানা পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি ওয়াই পূরণ কুমারের মৃত্যুর ঘটনায় বড় পদক্ষেপ পুলিশের। অপসারণ করা হল হরিয়ানার সিনিয়র পুলিশ অফিসার এবং রোহতকের পুলিশ সুপার নরেন্দ্র বিজর্ণিয়াকে। বিজর্ণিয়ার কুর্সিতে বসামো হয়েছে  সুরিন্দর সিং ভোরিয়া। তবে অপসারিত বিজর্ণিয়াকে এখনও পর্যন্ত কোনও পদ দেওয়া হয়নি।

    আত্মঘাতী আইপিএস ওয়াই পূরণ কুমারের স্ত্রী, আইএএস অফিসার অমনীত পুরান কুমার- হরিয়ানার ডিজিপি শত্রুজিৎ কাপুর, রোহতকের এসএসপি এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীকে হয়রানি ও প্ররোচনার অভিযোগে থানায় একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করার পর এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।

    অমনীত পুরান কুমার অভিযোগপত্রে নিজের আত্মাঘাতী আইপিএস অফিসারের সুইসাইড নোটে নাম থাকা ঊর্ধ্বতন পুলিশকর্তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তাঁদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। এছাড়া হতভাগ্য পরিবারের নিরাপত্তা এবং তাঁদের অধিকার রক্ষার দাবি জানান। উল্লেখ্য, হরিয়ানা পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি ওয়াই পূরণ কুমার তাঁর সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছেন যে, তিনি দলিত হওয়ায় ঊর্ধ্বতন সহকর্মীরা তাঁকে কটূক্তি-সহ নানান মানসিক নির্যাতন করতেন। ১৩ জন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। 

    সনিয়া গান্ধী পুরণের স্ত্রীকে চিঠি লিখেছেনসনিয়া গান্ধী আমনীত কুমারকে লিখেছেন, পুরণের মৃত্যু স্মরণ করিয়ে দেয় যে- ঊর্ধ্বতন দলিত আমলারাও কীভাবে সামাজিক সমতা থেকে বঞ্চিত। সনিয়ার কথায়, "তাঁর দেশপ্রেম এবং অঙ্গীকার আমাদের মনে করিয়ে দেবে যে আমাদের প্রবীণদের ত্যাগ এবং নিষ্ঠা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও নিঃস্বার্থভাবে জাতির সেবা করার জন্য অনুপ্রাণিত করে।"  

    ভূপিন্দর সিং হুডা, রণদীপ সুরজেওয়ালা এবং রাহুল গান্ধীর মতো নেতারা অবিলম্বে ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন। দলিত সংগঠনগুলি মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে জড়ো হয়ে ডিজিপি, এসএসপি এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের দাবি তুলেছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে বিলম্ব হলে রাজ্যব্যাপী বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

    পুরণ কুমার নিজেকে গুলি করে হত্যা করেছেন৭ অক্টোবর, হরিয়ানা পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি আইপিএস অফিসার ওয়াই পুরণ কুমার চণ্ডীগড়ের বাসভবনে আত্মহত্যা করেন এবং নয়'পৃষ্ঠার সুইসাইড নোটে ১২ জন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে তাদের মানসিক হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন। কুমারের নোটে তাঁর সমস্ত সম্পত্তি স্ত্রীকে দেওয়ার উইল অন্তর্ভুক্ত ছিল।

    সূত্রের খবর, পূরণের পকেট থেকে উদ্ধার করা নোটে তিনি হয়রানি, বৈষম্য এবং প্রশাসনিক পক্ষপাতের অভিযোগ করেছেন। সূত্রের খবর, নোটে একজন ডিজিপি পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে অপ্রয়োজনীয় নোটিশ জারি করে বারবার হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছে। কুমার সাত-আট জন আইপিএস এবং দু'জন আইএএস অফিসারের নামও উল্লেখ করেছেন, যেখানে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ, পদন্নতিতে  বৈষম্য এবং অফিসিয়াল পর্যালোচনায় (এসিআর) পক্ষপাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

    হরিয়ানার এডিজিপি ওয়াই পুরণ কুমারের আত্মহত্যার অভিযোগ তদন্তের জন্য চণ্ডীগড় পুলিশ আইজি পুষ্পেন্দ্র কুমারের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) গঠন করেছে।
  • Link to this news (আজকাল)