• ভোট এলেই ইডি আসে, কটাক্ষ মন্ত্রী সুজিত বসুর
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১১ অক্টোবর ২০২৫
  • সল্টলেকে রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর দপ্তর, তাঁর আবাসন ও রেস্তরাঁয় শুক্রবার সকালে অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বেশ কয়েক ঘণ্টা এই জায়গাগুলিতে তল্লাশি চালানো হয়। এবিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ভোট এলেই ইডি আসে। দুর্নীতির কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় না। তা সত্ত্বেও আসে। ভোটের আগে এই হানাকে ‘রাজনৈতিক ভাবে আক্রমণের চেষ্টা’ বলে মন্তব্য করেছেন সুজিত।

    পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে শুক্রবার সকাল থেকে কলকাতার একাধিক জায়গায় হানা দেয় ইডি। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। সল্টলেক সেক্টর ওয়ানের একটি ভবনে সুজিত বসুর দপ্তরে যান ইডির আধিকারিকরা। পাশাপাশি উল্টোডাঙা এলাকায় মন্ত্রীর ছেলের একটি রেস্তরাঁতেও হানা দেয় ইডি। এ প্রসঙ্গে সুজিত বলেন, ‘এরা প্রত্যেকবারই ভোট এলে এটা করে। বিশেষ করে বিরোধী দলের সঙ্গে যুক্ত নেতাদের বাড়ি, অফিস সব জায়গায় যায়। আমার রেস্তরাঁতেও গিয়েছে। এটা নতুন কিছু নয়। এর আগেও হানা দিয়েছে কিন্তু কিছু পায়নি। আসলে ভোটের আগে চাপ তৈরির উদ্দেশ্যে এটা করা হচ্ছে।’ উল্লেখ্য ২০২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে এই অভিযানকে ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ বলে কটাক্ষ করেছেন সুজিত।

    এদিন সুজিত বসুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা কাউন্সিলর নিতাই দত্তের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি। এই বিষয়টি উল্লেখ করে ইডিকে তোপ দাগেন দমকলমন্ত্রী। তিনি জানান, নিতাইয়ের বাড়িতে গিয়েও ইডি কিছুই পায়নি। ইচ্ছাকৃতভাবে টার্গেট করে করা হচ্ছে। রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। মন্ত্রীর দাবি, এবারও তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনও প্রমাণ জোগাড় করতে পারবেন না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। কারণ এলাকার মানুষ তাঁর ‘সার্টিফিকেট’। তাঁর কথায়, ‘মানুষই সব জানেন, মানুষই বিচার করবেন। আমি তাঁদের পাশে আছি, থাকব।’

    পুর নিয়োগ দুর্নীতি ও ব্যাঙ্ক প্রতারণার একটি মামলায় শুক্রবার সকালে কলকাতার ১০টি জায়গায় হানা দেয় ইডি। সল্টলেকে সুজিত বসুর দপ্তর, রেস্তরাঁ সহ ঠনঠনিয়া, শরৎ বোস রোড, নিউ আলিপুরের কয়েকটি জায়গা, বেলেঘাটায় এক চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও নাগেরবাজারে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালান তদন্তকারীরা। অডিটর সঞ্জয় পোদ্দারের কাঁকুড়গাছির ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালায় ইডি। এর আগে ২০২৪ সালে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুজিতের লেকটাউনের দু’টি বাড়ি ও দপ্তরে হানা দিয়েছিল ইডি। সেই সময় কিছু নথিপত্র সহ মন্ত্রীর ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেছিলেন আধিকারিকরা।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)