বিমল বসু: রাজ্যে শুরু হতে চলেছে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন। তার আগেই ভারত-বাংলাদেশ স্বরূপনগরে সীমান্ত থেকে ৪-৫ কিলোমিটার দূরে ধরা পড়ল ১৭ বাংলাদেশি নাগরিক। শনিবার বেলা দশটা নাগাদ স্বরূপনগর সীমান্তের তেঁতুলিয়া ব্রিজের উপরে সন্দেহজনকভাবে বেশ কয়েকজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় মানুষজন। তাদের জিজ্ঞাবাদা করতেই তাদের কথায় বিস্তর অসংগতি ধরা পড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিস খবর দেন।
খবর পয়ে পুলিস এসে ওইসব লোকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিসের জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে তাদের বাড়ী বাংলাদেশের সাতক্ষীরায়। বছর কয়েক আগে তারা ভারতে ঢুকেছিল কাজের জন্য। বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে তারা ঘরে ফিরছিল। কেনাও কাগজপত্র ছিল না।
পুলিস যে ১৭ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে তাদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ, ৪ জন মহিলা ও ৭ জন শিশু। আজ বেলা তিনটে নাগাদ ধৃতদের বসিহাট আদালতে তোলা হয়।
উল্লেখ্য, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিশেষ করে স্বরূপনগর এলাকায় প্রায়ই পুলিসের হাতে ধরা পড়ে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি নাগরিক। অগাস্ট মাসের ২৪ তারিখে বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন এক বাংলাদেশি। আটক করার পর জেরায় জানা যায় আটক ওই ব্যক্তি বাংলাদেশ পুলিসের এক কর্তা। নাম আরিফুজ্জামান। বাড়ি বাংলাদেশের নেইলফামারির সাহিপাড়ায়। সূত্রের খবর, হাসিনা জমানার পতনের পর প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কায় তিনি গা ঢাকা দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের সাতক্ষীরায় গত কয়েক মাস ধরে বসবাস করছিলেন। সুযোগ খুঁজছিলেন ভারতে আসার।
স্বরূপনগরের বিথারী সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেন। সেইসময় তাঁকে আটক করে বিএসএফ। এরপর জেরা করতেই বেরিয়ে আসে ধৃত আরিফুজ্জামান বাংলাদেশের একজন পুলিসকর্তা ছিলেন। তারপরই তাঁকে নিয়ে আসা হয় স্বরূপনগর থানায়। গোটা বিষয়টি জানানো হয় থানায়। তারপরই অনুপ্রবেশকারী আরিফুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘন করায় বাংলাদেশের ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক বাংলাদেশি ট্রলার। মায়ের দোয়া নামের ওই ট্রলারে ১৩ জন মৎস্যজীবী ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। এদিন ভোররাতে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী বঙ্গোপসাগর থেকে বাংলাদেশের ওই ট্রলারকে আটক করে। ইতিমধ্যেই ওই মৎসজীবীদের জিজ্ঞাসাবাদ পর্বও শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে পুলিস শুরু করেছে আইনি প্রক্রিয়া।