• জোটে জায়গা না পেয়ে বিহারে ১০০ আসনে লড়ার ঘোষণা ওয়েইসির, সিঁদুরে মেঘ দেখছে ইন্ডিয়া
    প্রতিদিন | ১১ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইন্ডিয়া জোটের কাছে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরে এবার একা চলার বার্তা দিল এআইএমআইএম। বিহার নির্বাচনের আগে ১০০ আসনে একা লড়ার কথা ঘোষণা করেছেন এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। গত নির্বাচনে মাত্র ২০ আসনে লড়েছিল তাঁর দল।

    হায়দ্রাবাদের সাংসদ ওয়েইসির দাবি বিহারে তৃতীয় বিকল্প তৈরির চেষ্টা করছে এআইএমআইএম। বহুদিন ধরে বিহারের রাজনীতি দ্বিমুখী। সেখানে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি-র নেতৃত্বাধীন এনডিএ এবং কংগ্রেস-আরজেডি জোট। এআইএমআইএম-এর রাজ্য সভাপতি আখতারুল ইমান বলেন, “আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে ১০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার। এনডিএ এবং ‘মহাগঠবন্ধন’ উভয়কেই আমাদের উপস্থিতি উপলব্ধি করতে বাধ্য করা হবে।” তিনি আরও দাবি করেন যে ‘মহাগঠবন্ধন’ ২০২০ সালে এআইএমআইএম-এর বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ ভোট বিভক্ত করার অভিযোগ করেলেও এবার তা করতে পারবে না। তাঁর দাবি, “সবাই জানেন আমি আরজেডি সভাপতি লালু প্রসাদ এবং তেজস্বী যাদবকে চিঠি লিখে জোটে ইচ্ছা প্রকাশ করেছি। কিন্তু কোনও সাড়া পাইনি।” ইমানের অভিযোগ, “আমরা তৃতীয় ফ্রন্টের সম্ভাবনা বোঝার জন্য সমমনস্ক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করছি।”

    ২০২০ সালে, উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর দল বিএসপি এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহার প্রাক্তন দল আরএলএসপি-র সঙ্গে জোট বেঁধে ভোটে লড়ে এআইএমআইএম। উপেন্দ্র কুশওয়াহা রাষ্ট্রীয় লোক দল নামের নতুন দল গঠন করে এনডিএ-তে যোগ দিয়েছেন।

    গত নির্বাচনে ২০ আসনে লড়াই করে পাঁচ আসনে জেতে এআইএমআইএম। বিশেষজ্ঞদের ধারণা ওয়েইসির দল আসলে আরজেডি, কংগ্রেস এবং বামেদের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসিয়েছে। এই দলগুলির মূল ভোট ব্যাঙ্ক যাদব এবং মুসলিমরা। সিম্নচলের বেশ কিছুয়াসনে মুসলিমদের আধিক্য রয়েছে। সেই অঞ্চলে এআইএমআইএম মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কের কিছুটা অংশও নিজেদের দখলে আনতে পারলে তা আসলে বিজেপি-কে সাহায্য করবে বলেই সকলের ধারণা।

    বিশেষজ্ঞদের মত, বিহারে মোট জনসংখ্যার ১৭ শতাংশেরও বেশি মুসলিম। কিন্তু রাজ্য বিধানসভায় তাঁরা কখনও সেই আনুপাতে প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পায়নি। এআইএমআইএম এই সমস্যাকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    আগামী নভেম্বরেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। দুই দফায় ছয় এবং ১১ নভেম্বর ভোট গ্রহণ হবে। আর গণনা হবে ১৪ নভেম্বর। ভোটের আগে এই প্রতিশ্রুতি ভোটারদের মধ্যে উন্মাদনা তৈরি করেছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)