দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়ার ‘গণধর্ষণে’ রিপোর্ট তলব স্বাস্থ্যভবনের, এখনও গ্রেপ্তারি শূন্য
প্রতিদিন | ১১ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্গাপুরে দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়ার গণধর্ষণের অভিযোগে তৎপর রাজ্যের স্বাস্থ্যভবন। ওই বেসরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। ঠিক কী ঘটেছে, কীভাবে এই ঘটনা ঘটল ? এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার কাছে জমা দিতে হবে।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তবে ডাক্তারি পড়ুয়ার সহপাঠীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। ওই সহপাঠীর সঙ্গে খাবার খেতে বেরিয়ে ‘গণধর্ষণে’র শিকার হন তরুণী। যদিও ঘটনার সময় ওই সহপাঠী ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান। তাঁর ভূমিকা তাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আদৌ এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগসাজশ রয়েছে কিনা, সে সংক্রান্ত তথ্য খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত বলেন, “বিষয়টি সংবেদনশীল। তাই সবদিক মাথায় রেখে ঘটনার তদন্ত চলছে। তথ্য হাতে আসামাত্রই জানানো হবে।”
প্রসঙ্গত, ওই তরুণী ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা। দুর্গাপুরের বেসরকারি কলেজের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। কলেজের হস্টেলে থাকেন তিনি। শুক্রবার রাতে এক বন্ধুর সঙ্গে খাবার খেতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় জঙ্গলে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। নির্যাতিতার বাবা বলেন, “রাত ১০টা নাগাদ ওর বন্ধু আমাকে ফোন করেছিল। এখানে চলে আসি তাড়াতাড়ি। সাড়ে ৯টা নাগাদ একটা ছেলে খাবার খেতে আমার মেয়েকে গেটের কাছে নিয়ে গিয়েছিল। ২-৩ জন চলে আসে। ছেলেটা ছেড়ে পালিয়ে যায়। সেই সময় একজন আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। মোবাইল কেড়ে নেয়। ৩ হাজার টাকা দাবি করে। দিতে পারেনি। পরে ছেলেটা আবার ঘটনাস্থলে ফিরে আসে। সেই সময় ৪-৫ অপরিচিত যুবক ছিল। তাদের হাতে ৩০০ টাকা ছিল দিয়েছিল। রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেয়ে। তখন মেয়েকে নিয়ে ওই ছেলেটা ফেরে।” ইচ্ছাকৃতভাবে বেসরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ তরুণীর বাবার। এমনই নানা অভিযোগ তুলে কলেজে বিক্ষোভ দেখান অন্যান্য পড়ুয়ারা। ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।