ERO নিয়োগে নিয়মভঙ্গের অভিযোগ, মুখ্যসচিবকে প্রশ্ন, চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন
হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ অক্টোবর ২০২৫
রাজ্যে নির্বাচনী প্রস্তুতির আবহে ফের সংঘাতে মুখোমুখি নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য প্রশাসন। বাংলায় ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার নিয়োগে গুরুতর বেনিয়মের অভিযোগ তুলে সরাসরি মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে চিঠি পাঠিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের প্রশ্ন, যেখানে নিয়োগের মত সুস্পষ্ট একটি প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট পদমর্যাদার আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়ার কথা, সেখানে কীভাবে এসডিও-রও নিচের স্তরের কর্মীদের ইআরও পদে বসানো হল, তা জানানো হয়নি কেন?
এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনিও অভিযোগ তুলেছিলেন যে এসআইআর চলাকালীন এমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের ক্ষেত্রে নিয়োগের মানদণ্ড ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। তবে দেখা যাচ্ছে, শুভেন্দুর অভিযোগের অনেক আগেই এই বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছিল কমিশন। ৩ অক্টোবরই নবান্নের উদ্দেশে পাঠানো হয় কমিশনের প্রশ্নপত্র।
নিয়ম অনুযায়ী, ইআরও ও এইআরও পদে এমন আধিকারিকদের নিয়োগ করা উচিত যাঁদের পদমর্যাদা অন্তত সাব-ডিভিশনাল অফিসারের সমান বা তার উপরে। কিন্তু রাজ্যের একাধিক মহকুমায় দেখা যাচ্ছে, এসডিও-র ঘাটতি দেখিয়ে তারও নিচের পর্যায়ের কর্মীদের এই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। কমিশনের অভিযোগ, যদি কর্মী সংকট থেকেই থাকে, তা হলে কেন সেই তথ্য কেন্দ্রীয়ভাবে জানানো হল না? কেন কোনও পূর্বসূচনা বা অনুমোদন নেওয়া হল না?
এই পরিস্থিতিতে কমিশনের নজরে এসেছে আরও একটি বিষয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক মন্তব্য, যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ, লোকপাল আইন অনুযায়ী হলফনামা ছাড়া সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য মন্তব্য বা অভিযোগ করা যায় না। তবুও সেই বক্তব্যের সময় মুখ্যসচিব উপস্থিত ছিলেন। এ নিয়ে সরাসরি তাঁর ভূমিকা ও দায়িত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে কমিশন। কমিশনের এই চিঠিকে শুধু প্রশাসনিক প্রশ্ন নয়, বরং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা নিয়ে উদ্বেগের ইঙ্গিত হিসেবেই দেখা হচ্ছে। নবান্ন এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খোলেনি। তবে কমিশনের চিঠি পৌঁছে যাওয়ার পর রাজ্য প্রশাসন চাপে পড়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।