• রাগের মাথায় গোটা পরিবার শেষ করল তরুণী! উৎসবের আবহে হাড়হিম দৃশ্য এই রাজ্যে, আঁতকে উঠল পুলিশ ...
    আজকাল | ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক ঘর থেকেই উদ্ধার মা ও দুই খুদে সন্তানের ঝুলন্ত দেহ। উৎসবের আবহে এহেন ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। সন্তানদের খুন করে তরুণী আত্মঘাতী হয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু কারণ কী? তদন্তে নামলেও এখনও ধোঁয়াশায় পুলিশ। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। শুক্রবার পুলিশ জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সি এক তরুণী দুই সন্তানকে খুন করে, আত্মঘাতী হয়েছেন। তরুণীর নাম, বিজয়লক্ষ্মী। তিনি তাঁর এক ও চার বছরের সন্তানকে খুন করে আত্হমহত্যা করেছেন। 

    পুলিশ আরও জানিয়েছে, পরিবারটি আদতে রাইচুর জেলার বাসিন্দা। কিন্তু তরুণীর স্বামী বেঙ্গালুরুতে একটি শপিং মলে কাজ করেন। সেই সূত্রেই বেঙ্গালুরুতে থাকত পরিবারটি। পুলিশের অনুমান, স্বামীর সঙ্গে কোনও একটি বিষয়ে ঝামেলা হয়েছিল তরুণীর। যার জেরেই সন্তানদের খুন করে চরম পদক্ষেপ করেছেন তিনি। 

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতেই বাড়ি থেকে তরুণী ও তাঁর এক ও চার বছরের সন্তানদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সম্ভবত সন্তানদের শ্বাসরোধ করে খুনের পর দেহ দুটি সিলিং ফ্যানের ঝুলিয়ে দেন তরুণী। এরপর নিজে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। দেহটি ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। ঘটনার মামলা রুজু করে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। 

    প্রসঙ্গত, গত বছর এপ্রিল মাসে এমনই এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল ভিন রাজ্যে। পথের কাঁটা ছিল তিন ও পাঁচ বছরের দুই সন্তান। প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য শেষমেশ দুই সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন মা। নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘিরে দীর্ঘ তদন্তের পর অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছিল ২৫ বছরের এক তরুণী। 

    পুলিশ সূত্রে খবর, হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে ৩১ মার্চ। মহারাষ্ট্রের পালগড়ে। দুই সন্তান যখন গভীর ঘুমে সেই সময় বাজারে গিয়েছিলেন বাবা। মেয়ে, ছেলের জন্য মিষ্টি কিনে ফেরার পর স্ত্রীকে সন্তানদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন। স্ত্রী জানান, দুইজনেই ঘুমাচ্ছে। সন্ধে পর্যন্ত ঘুম না ভাঙায় তাদের ডাকতে যান ওই ব্যক্তি। তখনই অচৈতন্য অবস্থায় দুই সন্তানকে পড়ে থাকতে দেখেন। তড়িঘড়ি করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা দুই নাবালককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

    দুই নাবালকের মৃত্যুর তদন্তে নেমে বাবা, মা দুইজনকেই দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তরুণীর ফোনের যাবতীয় তথ্য পাওয়ার পর পরিবার এবং তাঁর পরিচিত এক যুবককে জেরার জন্য ডেকে পাঠান তদন্তকারীরা। সেই সময়েই সন্তানদের খুনের ঘটনাটি স্বীকার করে নিয়েছিলেন তরুণী। 

    তদন্তকারীদের জানান, বিয়ের আগেই ওই যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পর থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বহুবার। অবশেষে দুই সন্তানকে খুনের পর পুরনো প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন তরুণী। বাড়িতে সেদিন কেউ না থাকার সুযোগে, দুই সন্তানের শ্বাসরোধ করে খুন করেন তিনি। 
  • Link to this news (আজকাল)