• রেহাই পেল মৃতদেহও! মর্গ থেকে তরুণীর নিথর দেহ বের করে উদ্দাম যৌনতা, একবছর পর তরুণের কীর্তি ফাঁস ...
    আজকাল | ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ছাড় পেল না তরুণীর মৃতদেহও। সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মর্গ থেকে তরুণীর নিথর দেহ টেনে বের করে উদ্দাম যৌনতায় লিপ্ত হল এক তরুণ। একবছর পর ফাঁস হল সেই কেচ্ছা। অভিযোগ দায়ের হতেই গ্রেপ্তার তরুণ। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, হাসপাতালের মর্গে এক তরুণীর নিথর দেহের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে। ঘটনার একবছর পর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

    পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত বছর এপ্রিল মাসে। সম্প্রতি সেই মর্গের সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে। মর্গের মধ্যে ছিল তরুণীর মৃতদেহ। চুপিসারে মর্গে ঢুকে পড়ে ওই তরুণ। এরপর মর্গের মধ্যেই মৃতদেহের সঙ্গে উদ্দাম যৌনতায় লিপ্ত হয়। এরপর সেই দেহটি মর্গ থেকে সরিয়েও নিয়ে যায়। 

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৮ এপ্রিল ওই জেলায় খাকনার কমিনিউটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মর্গে আচমকাই ঢুকে পড়ে ওই তরুণ। পরে জানা যায়, ২৫ বছর বয়সি ওই তরুণের নাম নীলেশ ভাইলালা। ভাউরাঘাট এলাকার তাঙ্গিয়াপাট গ্রামের বাসিন্দা সে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, মর্গে তরুণীর দেহ রাখা ছিল ময়নাতদন্তের জন্য। স্ট্রেচার থেকে তরুণীর নিথর দেহ বের করে , সেখানেই উদ্দাম সঙ্গমে লিপ্ত হয় তরুণ। 

    শুধু তাইই নয়। তরুণীর দেহটি মর্গের বাইরে নিয়ে যায় সে। সেই এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। সেখানেই মৃতদেহের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হয় সে। এরপর নিথর দেহ টেনে হিঁচড়ে আবারও মর্গে এনে স্ট্রেচারের পাশে রেখে সে পালিয়ে যায়। চলতি বছর অক্টোবর মাসে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মেডিক্যাল অফিসার ডা. আদিত্য দাওয়ার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

    পুলিশ আরও জানিয়েছে, অভিযুক্ত তরুণের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তাকে এখনও জেরা করা হচ্ছে। কী পরিস্থিতিতে, কী কারণে তরুণীর নিথর দেহের সঙ্গে যৌনতায় সে লিপ্ত হল, কীভাবে মর্গে সে পৌঁছল, নিরাপত্তায় গাফিলতি ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

    প্রসঙ্গত, মৃতদেহের সঙ্গে রীতিমতো বসবাস করার উদাহরণ অতীতেও পাওয়া গেছে নানা দেশে। এক স্বাস্থ্য কর্মী তাঁর প্রেমিকার মৃতদেহ নিয়ে সাত বছর সংসার করেন।‌ সাজিয়ে, গুছিয়ে কঙ্কালের রূপ বদলে দিয়েছিলেন। সেই কঙ্কাল নিয়ে রাতে ঘুমাতে যেতেন তিনি। কয়েক দশক কেটে গেলেও, সেই প্রেমের কাহিনি এখনও ভোলেননি বিশ্বের মানুষ। যা বারবার মনে করিয়ে দেয় হিচককের 'সাইকো'কে। 

    কার্ল ট্যানজলার ও ইলিনা দ্য হয়োসের প্রেমের সম্পর্ক আর পাঁচটা সাধারণ সম্পর্কের মতো নয়। এমনই এক সম্পর্ক, প্রেমিকার মৃত্যুর পরেও, মৃতদেহের সঙ্গে সাত বছর কাটালেন এক স্বাস্থ্য কর্মী। 

    ১৯৩১ সাল। ফ্লোরিডার কি ওয়েস্টের মেরিন হাসপাতালে ইলিনাকে ভর্তি করা হয়েছিল। সেই সময় ইলিনা টিউবারকিউলোসিস বা যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ওই হাসপাতালেই রেডিওলজিক টেকনিশিয়ান ছিলেন কার্ল ট্যানজলার। তিনি পেশায় চিকিৎসক ছিলেন না। কিন্তু তাঁর বিশ্বাস ছিল, ইলিনাকে তিনি বাঁচাতে পারবেন। 

    আগেই ইলিনাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন কার্ল। একাধিকবার জানিয়েছিলেন, তিনি ইলিনাকেই ভালবাসেন। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন ইলিনা। অবশেষে ১৯৩১ সালের ২৫ অক্টোবর মাত্র ২২ বছর বয়সে ইলিনা যক্ষ্মায় মারা যান। হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন নানাধরনের চিকিৎসা করে ইলিনাকে বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন কার্ল। 

    ইলিনার মৃত্যুর পর একটা স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করেছিলেন কার্ল। সেখানেই রাখা ছিল ইলিনার দেহ। সেই স্মৃতিস্তম্ভেই রাখা থাকত একটি মোবাইল ফোন। ইলিনার মৃত্যুর পর টানা দুই বছর প্রতিদিন সেখানে যেতেন কার্ল। নিত্যদিন ফুল, উপহার নিয়ে ইলিনার মরদেহের পাশে রেখে দিতেন। 

    এরপর ১৯৪০ জানা যায়, ইলিনার মৃতদেহের সঙ্গেই বসবাস করেন কার্ল। ইলিনার বোন কার্লের বাড়িতে ছুটে যান। ঘরে ঢুকেই তিনি আঁতকে ওঠেন। ঘটনাটি সত্যি বলেই তিনি প্রথমে জানতে পারেন। জানা যায়, ১৯৩৩ সালে সেই স্মৃতিস্তম্ভ থেকে ইলিনার মৃতদেহ চুরি করে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন কার্ল। মৃতদেহে কাঁচের চোখ, মোম, এবং ঘরের মধ্যে সুগন্ধি ছড়িয়ে রাখা থাকত। যাতে পচা দুর্গন্ধ থেকে কারো সন্দেহ না হয়। 

    প্লাস্টার দিতে মুখটি নতুন করে তৈরি করেছিলেন। ইলিনার চুল দিয়েই কঙ্কালের মাথায় পরচুলা পরিয়ে দিয়েছিলেন। সুন্দর পোশাক, গয়না পরিয়ে বিছানায় শোয়ানো থাকত তাঁকে। অটোপসি রিপোর্টে নানা অদ্ভুত কাণ্ডকারখানা ধরা পড়ে। তবে মৃতদেহের সঙ্গে যৌনতার ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। 
  • Link to this news (আজকাল)