• কাশির সিরাপ এবং বেআইনি ওষুধ সঞ্চয় নিয়ে সতর্কতা, এবার জোড়া নোটিশ জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর...
    আজকাল | ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের জাল কাশির সিরাপ কেলেঙ্কারি পর তৎপর পশ্চিমবঙ্গ সরকার, পাশাপাশি প্রতিটি ওষুধ ব্যবহারে মেয়াদ এবং NABL দ্বারা প্রাপ্ত রিপোর্ট ও বৈধতা যাচাই করে এবং স্টকে থাকা ওষুধগুলিকে রোগীদের কাছে বা হসপিটালে পাঠানোর আগে তার মান যাচাই করে তবেই যেন ব্যবহার করা হয়। তার প্রকৃত রিপোর্ট আগামী সাত দিনের মধ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরে জমা দিতে হবে। এই সংক্রান্ত দু’টি নোটিশ জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। 

    প্রথম নোটিশে রাজ্যে সব ওষুধ বিপণনকারীদের প্রতি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, সাম্প্রতিক কাশিপ সিরাপের মান সংক্রান্ত উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যেন নিম্নলিখিত নির্দেশাবলী ও Drugs and Cosmetics Rules, 1945 এর বিধানগুলি কঠোরভাবে মেনে চলা হয়-

    ১) ওষুধ আইন অনুযায়ী বিধি ৮৪ডি বিপণন চুক্তি মেনে চলুন: কোনও বিপণনকারী অন্য কোনও প্রস্তুতকারকের তৈরি ওষুধকে শুধুমাত্র নিজের নামে লেবেল বা স্টিকার লাগিয়ে বিক্রি বা বিতরণের উদ্দেশ্যে বিপণনের জন্য গ্রহণ করতে পারবেন না। যদি না তিনি বিধি ২(ইএ) অনুযায়ী নির্ধারিত একটি বৈধ চুক্তি সম্পাদন করেন।

    ২) ওষুধ আইন অনুযায়ী বিধি ৮৪ই বিপণনকারীর দায়িত্ব: যে কোনও বিপণনকারী যে কোনও ওষুধ বিক্রি বা বিতরণ করেন, তিনি সেই ওষুধের গুণমান এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক বিধি মেনে চলার জন্য প্রস্তুতকারকের সঙ্গে সমানভাবে দায়বদ্ধ থাকবেন।

    ৩) রাজ্যের সকল কফ সিরাপ প্রস্তুত প্রণালীর বিপণনকারীদের প্রতি নির্দেশ: যেসব প্রতিষ্ঠান পশ্চিমবঙ্গের বাইরে তাদের কাশির সিরাপ প্রস্তুত করাচ্ছেন, তাদের সকলকে Drug Rules এর ৮৪ডি বিধি অনুযায়ী উল্লিখিত চুক্তির অনুলিপি ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্য ওষুধ নিয়ন্ত্রণ দফতরের Licensing Authority-র নিকট মূল্যায়নের জন্য জমা দিতে হবে। এই নথি ইমেল মারফত পাঠাতে হবে নিম্নলিখিত ঠিকানায় tellddcwb@gmail.com।

    ৪) ওষুধের নিরাপত্তা সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্যের জন্য: ‘Drug Alert’ অংশটি নিয়মিত অনুসরণ করার অনুরোধ করা হচ্ছে।

    দ্বিতীয় নোটিশে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নিম্নলিখিত বিষয়গুলির উপর সাত দিনের মধ্যে অবশ্যই যাচাই করে একটি রিপোর্ট জমা দিতে হবে-

    ১) বর্তমানে জেলা রিজার্ভ স্টোর, সরকারি মেডিকেল কলেজের হাসপাতালের ওষুধ সংরক্ষণাগার এবং ফিল্ড হাসপাতালগুলির স্টকে থাকা সমস্ত ওষুধ যেন রোগীদের নিরাপদ ব্যবহারের জন্য তাদের মেয়াদকালের মধ্যে থাকে— তা নিশ্চিত করতে হবে।

    ২) প্রতিটি ওষুধ বিতরণের আগে নিশ্চিত করতে হবে যে, প্রতিষ্ঠান (Firm) এবং স্বতন্ত্র NABL স্বীকৃত ল্যাবরেটরি থেকে প্রাপ্ত বাধ্যতামূলক নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট (Statutory Sampling Reports) সংগ্রহ করা হয়েছে, তা যাচাই করা হয়েছে এবং ফলাফল সন্তোষজনক পাওয়া গিয়েছে। এরপরই ওষুধটি SMIS সিস্টেমে এন্ট্রি করে রোগীদের মধ্যে বিতরণের জন্য অনুমোদন দেওয়া যাবে। 

    উল্লেখযোগ্যভাবে বলা যেতে পারে, রাজ্যে স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে এই দু’টি নোটিশ জারি করার মাধ্যমে একটা জিনিস স্পষ্ট যে, রাজ্য সরকার কোনও ভাবেই চিকিৎসা ব্যবস্থায় কোন গাফিলতি বরদাস্ত করছে না এবং করবেও না। একই সঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে কোনও রকম বেআইনি কার্যকলাপে রাজ্য সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে। 
  • Link to this news (আজকাল)