• এসআইআর নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে কুণাল ঘোষের কড়া হুঁশিয়ারি
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • শনিবার কেতুগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কড়া হুঁশিয়ারি দেন। তিনি সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, ‘এসআইআর নিয়ে এককাট্টা থাকুন। মাথার উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। তৃণমূল পরিবার সঙ্গে আছে। একজন আসল ভোটারের নাম যদি ভোটার তালিকা থেকে বাদ যায়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে এক লক্ষ লোক নিয়ে গিয়ে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের অফিস ঘেরাও করা হবে।’

    কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আগে বলেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে ভোট করাতে হবে। তাতে ওরা হেরেছে। এখন ভোটার তালিকায় কারচুপি করতে চাইছে। নির্বাচন কমিশনকে এসব কাজে লাগিয়েছে। অন্য রাজ্যের ভোটারদের নাম তালিকায় ঢুকিয়ে দিয়েছে। যেভাবে মহারাষ্ট্র, দিল্লিতে জিতেছিল। এখানেও সেটা চাইছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটা ধরে ফেলেছেন।’

    এদিন কেতুগ্রাম ১ ও কেতুগ্রাম ২ ব্লক এবং কাটোয়া মহকুমার বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত ছিলেন বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ। সেখানে মূল বক্তা ছিলেন কুণাল ঘোষ। তিনি তাঁর বক্তব্যে বিজেপিকে নিশানা করেন।

    তিনি বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের বন্যাকবলিত এলাকায় বিজেপির সাংসদ, বিধায়ক নিগ্রহের ঘটনা কাম্য নয়। নাগরাকাটার ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস জড়িত নয়। ওটা সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ। উত্তরবঙ্গে মানুষের পাশে বিজেপির নেতারা দাঁড়াননি, গিয়েছিলেন ছবি তুলতে। তাই সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। ১০০ দিনের কাজ করিয়ে বিজেপি দিনমজুরদের পাওনা টাকা আটকে রেখেছে। অথচ সেই টাকা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে বিক্ষোভ হবে না?’

    কুণাল আরও বলেন, ‘এবার বিজেপির যেসব নেতারা দিল্লি থেকে এখানে জ্ঞান দিতে আসবেন, তাঁদের কাছে সাধারণ মানুষ জানতে চাইবেন, কেন ১০০ দিনের প্রকল্পের ১ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি টাকা আটকে রাখা হয়েছে। সাধারণ মানুষ সেই প্রশ্ন তুলতেই পারেন।’

    এদিন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কুণাল ঘোষ জানান, ‘২০২৬ এ আড়াইশো আসন নিয়ে আবার তৃণমূল আসছে। মুখ্যমন্ত্রীর পদে পরিবর্তন হবে না। পরিবর্তন হবে বিরোধী দলনেতার পদে। কারণ ওই পদে থাকার মতো যথাযথ বিধায়ক সংখ্যা বিজেপির থাকবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই বিজয়া সম্মিলনীর সভা আসলে বিজয় উৎসবের ভিত্তিস্থাপন করছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১৬টি আসনে আমরা জিতব। আগামী নির্বাচনে বাংলার সব রেকর্ড ভেঙে যাবে।’
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)