ভারতের মাটিতে ‘তালিবানি ফতোয়া’য় নীরব কেন? মোদিকে তোপ বিরোধীদের
বর্তমান | ১২ অক্টোবর ২০২৫
নয়াদিল্লি: ভারত সফররত আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সাংবাদিক বৈঠক ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। শুক্রবার দিল্লির আফগান দূতাবাসে আয়োজিত সেই প্রেস কনফারেন্সে মহিলা সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এধরনের নারী বিদ্বেষী ‘তালিবানি ফতোয়া’য় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীরবতা নিয়ে সরব বিরোধীরা। এবার উত্তরপ্রদেশের দেওবন্দেও একই ঘটনার পুণরাবৃত্তি। শনিবার সাহারানপুরের ইসলামিক শিক্ষাকেন্দ্র দারুল উলম দেওবন্দ সফর করেন মুত্তাকি। সেখানেও মহিলা সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে খবর। দিল্লির ঘটনা নিয়ে বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’র চেষ্টা করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগান দূতাবাস আয়োজিত ওই সাংবাদিক বৈঠকে ভারত সরকারের কোনও ভূমিকা ছিল না। যদিও সরকারের এই বিবৃতিতে বিতর্ক থামছে না।
বিরোধী শিবিরের বক্তব্য, আফগান দূতাবাসের কোর্টে বল ঠেলে সরকার নিজের দায়িত্ব এড়াতে পারে না। কারণ দিল্লির আফগান দূতাবাস রয়েছে ভারতেই। ভারতীয় আইন অনুযায়ী লিঙ্গের ভিত্তিতে বৈষম্য করা যায় না। মুখে নারীদের অধিকারের কথা বললেও প্রধানমন্ত্রী কেন এই ইস্যুতে চুপ, সেই প্রশ্ন তুলেছে তারা। এদিন এক্স হ্যান্ডলে তীব্র সমালোচনা করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে তাঁর তোপ, মহিলা সাংবাদিকদের বাদ দেওয়ার ঘটনা আপনি মেনে নিচ্ছেন মানে আপনি ভারতের প্রতিটি নারীকে বলছেন তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর মতো শক্তি আপনার নেই। আপনি দুর্বল। সর্বত্র সমানভাবে অংশগ্রহণের অধিকার আমাদের দেশের মহিলাদের রয়েছে। এধরনের বৈষম্য সত্ত্বেও আপনার এই নীরবতা বলে দিচ্ছে, নারী শক্তি নিয়ে আপনার স্লোগানগুলি কতটা অন্তঃসারশূন্য। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছেন, এই ঘটনাকে দেশের মহিলা সাংবাদিকদের প্রতি অপমান। এক্স হ্যান্ডলে তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদিকে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। প্রতিবাদে সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্রও। তিনি লিখেছেন, তালিবান মন্ত্রীকে মহিলাদের বাদ দিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করছেন। এব্যাপারে অনুমতি দিয়ে মোদি সরকার ভারতের প্রতিটি নারীর অপমান করেছে।