ভারতে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যসূচিতে এআই
বর্তমান | ১২ অক্টোবর ২০২৫
নয়াদিল্লি: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ও অটোমেশন—এই দুইয়ের ধাক্কায় ঝুঁকির মুখে কর্মসংস্থান। বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্টই বলছে, ভারত সহ দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচ দেশের সাত শতাংশ কর্মী কাজ হারাতে পারেন। ঝুঁকির মুখে বিজনেস সার্ভিস ও তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত মাঝারি শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম। বিশ্বব্যাঙ্কের তরফে ‘সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট, জবস, এআই অ্যান্ড ট্রেড’ শীর্ষক রিপোর্টে বলা হয়েছে, কাস্টমার সাপোর্ট, অ্যাকাউন্টিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও পে-রোল তৈরির মতো কাজগুলি এআইয়ের সাহায্যে খুব সহজেই করা যাচ্ছে। ফলে এই সমস্ত ক্ষেত্রে চাকরি ক্রমেই ঝুঁকির মুখে পড়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবার দেশে প্রাথমিকেই শুরু হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই শিক্ষা। আগামী ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে তৃতীয় শ্রেণি থেকে তা পাঠ্যসূচীতে যুক্ত হবে।
এব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, পাঠক্রমে এআইকে যুক্ত করতে সার্বিক রূপরেখা তৈরি করা হচ্ছে। এরমাধ্যমে পড়ুয়া ও শিক্ষক—উভয়ই উপকৃত হবে। স্কুলশিক্ষা সচিব সঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন, আগামী দু’-তিন বছরের মধ্যে গোটা ব্যবস্থা শুরু হয়ে যাবে। এজন্য দেশের প্রায় এক কোটি শিক্ষকের প্রশিক্ষণ এব্যাপারে একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) এই নিয়ে রূপরেখা তৈরি করছে। নতুন পাঠ্যক্রম নিয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। একটি পাইলট প্রজেক্ট চলছে। কীভাবে এআই টুল ব্যবহার করতে হবে, কীভাবে শিশুদের কাছে তা তুলে ধরতে হবে—সবটাই শিক্ষকদের বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সিলেবাসে থাকবে ডিজিটাল ইকনমিও।
বর্তমানে সিবিএসই অনুমোদিত ১৮ হাজার স্কুলে এআই নিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১৫ ঘণ্টার ক্লাস করানো হচ্ছে। নবম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে নিতে পারে পড়ুয়ারা। তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, এআইয়ের সঠিক ব্যবহার জানা থাকলে আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত হতে পারবে নতুন প্রজন্ম। পড়াশুনো থেকে চাকরি সর্বত্র কাজে আসবে এই প্রযুক্তি।