সব দ্বন্দ্ব ভুলে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে একসঙ্গে লড়াইয়ের বার্তা জয়প্রকাশের
বর্তমান | ১২ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: কুশমণ্ডিতে বিজয়া সম্মিলনির মঞ্চে রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের প্রশংসা তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের। বিধানসভা ভোটের আগে ‘আমি-তুমি’ না করে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিলেন এই নেতা।
কয়েকদিন ধরে জেলার বিভিন্ন ব্লকে বিজয়া সম্মিলনিতে অংশ নিচ্ছে রাজ্য নেতৃত্ব। রাজ্য নেতাদের মুখে বারবার উঠে আসছে, দ্বন্দ্ব ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার বার্তা। এতে বিধানসভা ভোটের আগে মনোবল চাঙ্গা হচ্ছে দলের কর্মীদের।
সম্প্রতি কুমারগঞ্জ ও হরিরামপুর ব্লকে এসে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে জেলা নেতৃত্বকে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার একই সুর শোনা গেল দলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের গলায়। শনিবার কুশমণ্ডি কমিউনিটি হলে বিজয়া সম্মিলনি হয়। সেখানে জেলাস্তরের অধিকাংশ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন জেলার প্রবীণ নেতা তথা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রও।
জয়প্রকাশ বলেন, দক্ষিণ দিনাজপুরের ৬ টি বিধানসভা আসন এবারে তৃণমূল নেত্রীকে উপহার দিতে হবে। জেলায় আর আমি-তুমি করা যাবে না। জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়ালকে আরও কড়া হাতে দল পরিচালনার নির্দেশ দেন রাজ্য সহ সভাপতি। জয়প্রকাশের হুঁশিয়ারি, দলে থেকে যাঁরা বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে, জেলায় তাদের কোনও প্রয়োজন নেই।
গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে হারের কারণ অনুসন্ধান করে ভুলগুলি শুধরে নেওয়ারও বার্তা দেন রাজ্য সহ সভাপতি। জয়প্রকাশের কথায়, বিজেপির কোনও সংগঠন নেই। তাও তাদের ভোট আছে। আমাদের সংগঠন থাকার পরেও ভোট নেই। কারণ আপনাদের খুঁজতে হবে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। তা নাহলে গঙ্গারামপুর শহরের ১৮ টি ওয়ার্ডে আমরা পুরসভাতে জিতলেও বিধানসভা ও লোকসভায় কী করে হারছি? এদিকে জয়প্রকাশের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। বলেছেন, জয়প্রকাশের মতো সুবিধাবাদী লোক কী করে জানবে, জেলায় বিজেপির সংগঠন আছে কি না? সংগঠনের জোরেই আমরা ৬টি বিধানসভা দখল করব।
বিজয়া সম্মিলনির মঞ্চ থেকে গোষ্ঠীকোন্দল মিটিয়ে নেওয়ার বার্তা বারবার উঠে আসায় জেলার তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা কাছাকাছি আসতে পারেন কি না, সেটাই দেখার।