সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো ত্রাণ সামগ্রী পেলেন প্লাবন বিধ্বস্ত পোড়াঝারের বাসিন্দারা। শনিবার শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব সেই ত্রাণ ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের হাতে তুলে দেন। ত্রাণ নিতে সকাল থেকে রোদ উপেক্ষা করে কুপন হাতে বাঁধের উপর লম্বা লাইন দিয়েছিলেন তাঁরা। জামাকাপড়, চালসহ খাদ্যসামগ্রী পেয়ে অনেকটাই স্বস্তিতে পরিবারগুলি।
গৌতম সকলকে আশ্বস্ত করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো ক্ষতিগ্রস্তদের প্রত্যেকের ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। বিপর্যয়ের পর থেকে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে ত্রাণ শিবির খুলে খাবার, পানীয় জল দেওয়া হচ্ছে। জেলাশাসকের তরফেও ক্ষতিগ্রস্তদের বাসনপত্র সহ অন্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।
গত ৪ অক্টোবর প্রবল বৃষ্টির জেরে নদীর জল ঢুকে এলাকা তছনছ করে দেয়। অনেকের বাড়িঘর ভেঙে জিনিসপত্র ভেসে গিয়েছে। রাজ্য সরকার সব রকমভাবে পাশে দাঁড়ানোয় আবার ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন বাসিন্দারা।
এদিন অনেকেই অভিযোগ করেন, তাঁরা কুপন পাননি। ত্রাণ দেওয়া হয়েছে নদীর চরে বসবাসকারী ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে। কিন্তু বাঁধ ভেঙে চরের উল্টো পাড়ের বহু বাড়িতে জল ঢুকে ক্ষয়ক্ষতি হলেও সেই অংশের ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণের তালিকায় রাখা হয়নি। নদীর চরের অপর পারের বাসিন্দা গণেশ সরকার, শোভা বর্মন এদিন ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, আমাদের ঘরে জল ঢুকে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বাঁধের ওপারে বাড়ি হওয়ায় ত্রাণের কুপন দেওয়া হয়নি। কিন্তু অনেক মানুষ এখানে বাড়ি তৈরি করে ফেলে রেখে শিলিগুড়িতে বাস করেন। আমাদের বঞ্চিত করে তাঁরাই বেশি ত্রাণ নিয়ে চলে যাচ্ছেন।
এই অভিযোগ শুনে গৌতম বলেন, নদীর চরে যাঁদের বাড়ি রয়েছে, তাঁদেরই ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। তবে, ক্ষতিগ্রস্তরা কেউ বঞ্চিত হবেন না। মুখ্যমন্ত্রী সকলের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবেন। নদীর চরে বসতি গড়ে ওঠায় জমির কাগজপত্র বা পাট্টা নেই। তাঁদের ঘর দেওয়ার বিষয়টিও মুখ্যমন্ত্রী দেখছেন। নিজস্ব চিত্র।