সংবাদদাতা, দুর্গাপুর: শুক্রবার দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে প্রতিবাদ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক পারদ চড়ল স্টিলসিটিতে। ঘটনার প্রতিবাদে ও সঠিক তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন বাম নেতাকর্মীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করার জন্য তাঁরা জোর করে হাসপাতালে প্রবেশ করেন। নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দিলে তাঁদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পরে দুর্গাপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। শেষমেশ সিপিএমের চারজনের প্রতিনিধি দল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে দাবিদাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করে।
দুর্গাপুরের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণচন্দ্র ঘোরুই সহ বিজেপির স্থানীয় নেতাকর্মীরাও হাসপাতালে আসেন। নির্যাতিতার পরিবারের পাশে সর্বক্ষণ থাকার কথা জানান। পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা নির্যাতিতার বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। সেই সঙ্গে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন পুলিশের উপর চাপ সৃষ্টি করার। বিধায়ক ও বিজেপি নেতা-কর্মীরা নিউ টাউনশিপ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। কংগ্রেসের মহিলা নেতৃত্ব সহ নেতা-কর্মীরাও হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান। সামাজিক মাধ্যমেও চলে তাঁদের প্রতিবাদ। এদিন বিকেলে হাসপাতালে আসেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা অর্চনা মজুমদার। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতিতার সঙ্গে ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর সন্ধ্যায় হাসপাতাল লাগোয়া জঙ্গলে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এদিন কাঁকসায় দলীয় কর্মসূচিতে এসে নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, এই ঘটনায় পুলিশ সঠিক তদন্ত করবে। যারা রাজনৈতিক মন্তব্য করছেন, তাঁদের বলুন ওড়িশায় পরপর মেয়েরা কেন গায়ে আগুন লাগিয়ে ছিল? বিরোধীদের এনিয়ে কী মন্তব্য? এই ঘটনায় রাজনীতি করার কোনও জায়গা নেই।