দুর্গাপুরে গলার নলি কেটে স্ত্রীকে খুন করে থানায় বৃদ্ধ
বর্তমান | ১২ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদদাতা, দুর্গাপুর: শুক্রবার দুর্গাপুর ধোবিঘাট এলাকায় নিজের বৃদ্ধা স্ত্রীকে খুন করে থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করল এক বৃদ্ধ। মৃতার নাম মুকুল কর(৬২)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনাস্থলে দুর্গাপুর থানার পুলিশ গিয়ে ঘর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশ অভিযুক্ত দুর্গাদাস করকে গ্রেপ্তার করে শনিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে। বিচারক ধৃতকে ১০ দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ৭৫-র বৃদ্ধ দুর্গাদাস, তার স্ত্রী ও ছেলে ওই বাড়িতে থাকত। তিনজনই গৃহশিক্ষক। দুর্গাদাস একসময় বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষক ছিল। এলাকায় শিক্ষক পরিবারের সুনাম রয়েছে। কখনও কোনও বিবাদে জড়াত না বা এলাকাবাসীর সঙ্গে কোনও দুর্ব্যবহার করত না। পারিবারিক অশান্তিও কখনও প্রকাশ্যে আসেনি বলে দাবি এলাকাবাসীর। এদিন সন্ধ্যায় বাড়িতে দুর্গাদাস ও তার স্ত্রী ছিলেন। ছেলে শান্তনু টিউশন পড়াতে গিয়েছিলেন। রাত ৮ টা নাগাদ দুর্গাদাস তার স্ত্রীর গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ দিয়ে খুন করে। মৃতদেহ বাড়িতে রেখে দুর্গাদাস দুর্গাপুর থানায় যায়। পুলিশের কাছে স্ত্রীকে খুন করার কথা জানিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
স্থানীয় বাসিন্দা বাবু মজুমদার ও কৃষ্ণ মাল বলেন, দুর্গাদাস অন্য জেলার বাসিন্দা। প্রায় ১২ বছর আগে তাঁরা এই এলাকায় এসে বাড়ি করে থাকতে শুরু করেন। এলাকায় টিউশন পড়াতেন তিনজনই। কখনও তাঁদের পারিবারিক কোনও অশান্তি বা বিবাদ প্রকাশ্যে আসেনি। খুব ভালো মানুষ ছিলেন। কেন এই রকম ঘটনা ঘটালেন, বোঝা যাচ্ছে না। এসিপি(দুর্গাপুর) সুবীর রায় বলেন, ওই বৃদ্ধকে হেপাজতে নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।