নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: এক-দু’দিনের ছুটিতে সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণের জন্য বহু বাঙালির প্রথম পছন্দ দীঘা। তাই সপ্তাহান্তের ছুটিতে দীঘামুখী হন অনেকেই। চলতি সপ্তাহের শেষ লগ্নেই দীঘাগামী ১১৬বি জাতীয় সড়কে ঘটল বিপত্তি। মারিশদায় একটি কালভার্ট ভেঙে গিয়ে কার্যত দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে জাতীয় সড়ক! ফলে দীঘাগামী যাবতীয় যানবাহনকে বাজকুল বা হেঁড়িয়া থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার ঘুরপথে এগরা হয়ে দীঘা পৌঁছতে হচ্ছে। উল্টোদিকের যানবাহনগুলি রামনগর বাজার বা কাঁথি থেকে এগরা হয়ে বাজকুলের দিকে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত নাকাল হচ্ছেন হাজার হাজার পর্যটক ও সাধারণ মানুষ।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে ওই কালভার্টের কাছে সড়কে ধস নামে। রাতেই মেরামতির কাজ শুরু করে দেয় কর্তৃপক্ষ। কালভার্টের একাংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। শনিবার বেলা ১টা নাগাদ তা মেরামতির সময় কালভার্টের অর্ধেক খোলা রাখা অংশও আচমকা ভেঙে পড়ে। যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হয়। দু’দিকেই প্রচুর গাড়ি আটকে পড়ে। বাজকুল, হেঁড়িয়া, কাঁথির খড়্গপুর বাইপাস এবং রামনগর বাজারের মোড়ে ডাইভার্সন বোর্ড বসিয়ে পুলিশ এগরার দিকে গাড়ি ঘুরিয়ে দিতে শুরু করে। পূর্তদপ্তরের (জাতীয় সড়ক) খড়্গপুর ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার জয়ন্ত গরাই এদিন বলেন, ‘টানা কয়েকদিন বৃষ্টি চলেছে। শুক্রবার রাতে কালভার্টের কাছে ধস নামে। সেটির অবস্থা খুব খারাপ ছিল। একাংশ ভেঙে পড়ায় বাকি অংশও ভেঙে ফেলতে হয়। রাতের মধ্যে পাইপ বসিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু করার চেষ্টা করছি আমরা।’
এই অবস্থায় পর্যটকদের প্রাইভেট কার বা যাত্রীবাহী বাসের কোনও উপায় না থাকলেও দু’দিকে আটকে পড়া অনেক স্থানীয় ছোট গাড়ি গ্রামীণ রাস্তা ধরে মারিশদার ওই অংশ এড়িয়েছেন। কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাস বলেন, ‘জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে, দ্রুত তারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করবে।’ কালভার্টের সামনে প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে আটকে পড়েন বাগনানের প্রীতম মাইতি, দিলীপ শীট। তাঁরা বলেন, ‘জাতীয় সড়কের উপর একটি কালভার্ট এতটা জীর্ণ অবস্থায় থাকাটা আশ্চর্যজনক। কর্তৃপক্ষ আগাম ব্যবস্থা নিলে আমাদের এই দুর্ভোগ হতো না।’