বিদায় নিচ্ছে বর্ষা, খুশি কুমোরটুলি, কালীপুজোর আগে চূড়ান্ত ব্যস্ত শিল্পীরা
বর্তমান | ১২ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বর্ষা বিদায়ের পূর্বাভাসে নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও কালীপুজোর প্রাক্কালে ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে পটুয়াপাড়া। ফলে কালীপুজো যতই এগিয়ে আসছে, ততই কুমোরটুলিজুড়ে বাড়ছে চূড়ান্ত ব্যস্ততা। শুক্রবার বৃষ্টির জেরে পটুয়াপাড়ার মুখ ছিল ভার। প্রতিটি মৃৎশিল্পীকে পড়তে হয়েছিল চরম সমস্যার মধ্যে। দিনভর বৃষ্টির জেরে ত্রিপল, প্লাস্টিক টাঙিয়ে কাজ করতে হয়েছে। বৃষ্টির ঝাপসায় বারবার বিঘ্নিত হয়েছে প্রতিমা তৈরির কাজ। বৃষ্টির জেরে অনেক শিল্পীর ঘরে থমকে ছিল কাজ। বৃষ্টির জলে কোথাও প্রতিমা কমবেশি ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছে।
শনিবার ঠিক উল্টো চিত্র। সকাল থেকেই আলো ঝলমলে আকাশ থাকার ফলে কুমোরটুলি তার আগের ছন্দ ফিরে যায়। যে সমস্ত প্রতিমা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তা মেরামতের কাজ হয়েছে। কালীমূর্তি, মহাদেবের মুখ এবং নরমুণ্ড পাম্প স্টোভ ও কাঠ জ্বেলে শোকানো হয়েছে। দেখা গিয়েছে মূর্তিতে পড়ছে রঙের প্রলেপ। আবার কোথাও জোরকদমে বাঁশ‑খড়ের কাঠামোয় মাটির প্রলেপ দেওয়ার কাজ হয়েছে। বেলা যত গড়িয়েছে বেড়েছে কাজের গতি।
এখন হাতে যেহেতু সময় কম তাই শিল্পীরা নতুন প্রতিমার বায়না নিতে চাইছেন না। শিল্পীদের বক্তব্য, ইতিমধ্যে কিছু কিছু বড় প্রতিমা কুমোরটুলি থেকে চলে গিয়েছে। বাকি যে বরাত দেওয়া প্রতিমা রয়েছে, তা সঠিক সময় উদ্যোক্তাদের হাতে তুলে দেওয়াটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। শনিবার ভরদুপুরে মৃৎশিল্পী মালা পালের ঘরে ছোট প্রতিমা তৈরির বরাত দিতে আসেন এক দম্পতি। শিল্পী অর্ডার নেননি। শিল্পী রাজা পাল বলেন, ‘এখন বরাত নিলে আর কবে প্রতিমা তৈরি হবে? কারণ আগের বরাত নেওয়া প্রতিমা তৈরির কাজ তো শেষ করতে হবে।’ মৃৎশিল্পী সংগঠনের কর্তাদের বক্তব্য, অন্য পুজোর তুলনায় কালীপুজো বেশি হয়। তাই কুমোরটুলির শিল্গীরা কমবেশি ভালোই বরাত পান। প্রতিমা তৈরির জিনিসেরই দাম বেড়েছে গতবছরের তুলনায়। তাই এবার প্রতিমার দাম বেড়েছে। ফলে অনেক উদোক্তা আগের বছরের তুলনায় ছোট আকারের প্রতিমা নিচ্ছেন।