নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: শনিবার বারাকপুর ও শ্যামনগরে পৃথক দুটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে এসআইআর নিয়ে সুর চড়ালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যসভার সাংসদ হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের সমালোচনা করেন তারা। যদিও পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। যা নিয়ে বারাকপুরে কেন্দ্রীয় পাট গবেষণা কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সুকান্তবাবু। সেখানে প্লাস্টিকের বদলে চটের তৈরি সামগ্রী বেশি করে ব্যবহার করার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। আধুনিক প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে পাটজাত সামগ্রী কীভাবে বাজারজাত করা যায়, সেবিষয়েও এদিন পরামর্শ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এসআইআর প্রসঙ্গ নিয়ে এরাজ্যের সরকার এবং মমতাকে আক্রমণ করে বলেন, অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা খুব একটা বিরোধিতা করেছেন না, কিন্তু এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কঠোর বিরোধিতা করছেন। এখানেই বোঝা যাচ্ছে, কেন তিনি এত ভয় পাচ্ছেন!
সম্প্রতি বাগদায় বিজয়া সম্মিলনীতে তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক বলেছেন, ‘যদি কোনো বৈধ ভোটারের নাম বাদ পড়ে, সেক্ষেত্রে পাড়ায় বিজেপি নেতাদের ধরে আটকে রাখুন । একজন বৈধ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দিলে বাংলায় আগুন জ্বালিয়ে দেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরাও দেখব নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের কত ক্ষমতা’। এদিন শ্যমনগরে বৃক্ষরোপন অনুষ্ঠানে এসে তৃণমূল সাংসদের ওই মন্তব্যের সমালোচনা করেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। সেখানেই তিনি বলেন, বিহারে যেভাবে এসআইআর হয়েছে এই বাংলা-সহ গোটা ভারতবর্ষেই সেভাবে হবে। এটা নির্বাচন কমিশনের একটা বিশেষ প্রক্রিয়া। এতে বাধা দেওয়া অগণতান্ত্রিক। বারাকপুরের সাংসদ হোক বা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, প্রত্যেকেই এসআইআর নিয়ে ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছেন নির্বাচন কমিশনকে। এটা রাজ্যে হিংসা ছাড়ানোর জন্য করা হচ্ছে।
পাল্টা পার্থ ভৌমিকের প্রশ্ন, বৈধ ভোটার থাকলে বিজেপির সমস্যা কোথায়? বিজেপি বুঝতে পেরেছে বৈধ ভোটার থাকলে এরাজ্যে ৩০টির বেশি আসন পাবে না। তাই নির্বাচন কমিশনের মতো একটি সংস্থাকে দলের শাখা সংগঠনে পরিণত করতে চাইছে।