খেলার দুনিয়াতেও আত্মনির্ভর এবং শক্তিশালী হবে নতুন উত্তরপ্রদেশ, বার্তা যোগীর
প্রতিদিন | ১২ অক্টোবর ২০২৫
হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বৃহস্পতিবার ঝাঁসির মাটি থেকে এক অনুপ্রেরণামূলক বার্তা দিলেন। তিনি বলেন, ‘সুস্থ শরীরই ধর্ম এবং রাষ্ট্র গঠনের ভিত্তি।’ বিদ্যা ভারতী পূর্ব আয়োজিত ৩৬তম আঞ্চলিক ক্রীড়া সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এই বার্তা দেন। মুখ্যমন্ত্রী সেখানে খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা জানান। এই অনুষ্ঠানে তিনি ভানি দেবী গোয়েল সরস্বতী বিদ্যা মন্দির ইন্টার কলেজ প্রাঙ্গণে একটি মিনি স্টেডিয়াম তৈরির ঘোষণা করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, খেলাধুলা এখন আর সময় কাটানো নয়। এটি জীবনকে উন্নত করার এক শক্তিশালী মাধ্যম।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সাহস ও বলিদানের প্রতীক রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের এই বীরভূমিতে এসে তিনি গর্বিত। তিনি বিদ্যা ভারতীর প্রশংসা করেন। বলেন, ভারতীয় ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও জাতীয়তাবাদের চেতনা বাঁচিয়ে রেখেছে এই প্রতিষ্ঠান। ১৯৫২ সালে নানাজি দেশমুখ গোরক্ষপুরে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে সারা দেশে এটি ২৫,০০০-এরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক বিশাল নেটওয়ার্ক।
তিনি বিদ্যা ভারতীর প্রথম ছাত্র দেবেন্দ্র সিংকে সম্মান জানান। বলেন, সরকারি সাহায্য ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় আদর্শ বাঁচিয়ে রেখেছে। ঝাঁসির এই ভূমি দেশপ্রেম ও বীরত্বের অনুপ্রেরণা দেয়।
মুখ্যমন্ত্রী খেলোয়াড়দের জন্য রাজ্য সরকারের পুরস্কার তালিকা তুলে ধরেন। অলিম্পিকসে সোনা জয়ী একক খেলোয়াড় পাবেন ৬ কোটি টাকা। দলগত ইভেন্টে সোনা জয়ী পাবেন ৩ কোটি টাকা। এশিয়ান গেমসের সোনা জয়ী পাবেন ৩ কোটি টাকা। কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয়ী পাবেন ১.৫ কোটি টাকা। জাতীয় গেমসের ব্যক্তিগত সোনা জয়ী পাবেন ৬ লাখ টাকা।
এছাড়াও, অলিম্পিকসে অংশগ্রহণকারীদের ১০ লাখ টাকা এবং কমনওয়েলথ ও এশিয়ান গেমসে অংশগ্রহণকারীদের ৫ লাখ টাকা উৎসাহ ভাতা দেওয়া হয়। লক্ষ্মণ পুরস্কার (পুরুষ) ও রানি লক্ষ্মীবাঈ পুরস্কার (নারী) প্রদান করা হয়।
যোগী আদিত্যনাথ বলেন, খেলাধুলাকে এখন আর অর্থ ও সময়ের অপচয় হিসেবে দেখা উচিত নয়। এখন এটি আত্মনির্ভরতা ও অনুপ্রেরণার মাধ্যম। তিনি বলেন, একজন খেলোয়াড় পদক জিতুন বা না জিতুন, তার উদ্যমই তাকে সাফল্যের দিকে নিয়ে যায়।
বিজয়ী খেলোয়াড়দের মুখ্যমন্ত্রী সংবর্ধনা জানান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বুন্দেলি রাই নৃত্য দর্শকদের মুগ্ধ করে। তিনি বলেন, জয়-পরাজয়ের ঊর্ধ্বে খেলোয়াড়ের আত্মবিশ্বাসই সবচেয়ে বড় জয়।