• ‘আমি জানি কখন ভালো সময় আসবে’, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন শিবকুমার
    প্রতিদিন | ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর আসন নিয়ে দীর্ঘ দড়ি টানাটানির পর হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি আপাত শান্ত হয়েছে ঠিকই। তবে আঙ্গুর ফল বোধহয় পুরোপুরি টক হয়ে যায়নি কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারের জন্য। মুখ্যমন্ত্রী কুর্সির সেই ছাই চাপা আগুন ফের উসকে উঠল শিবকুমারের কথায়! সম্প্রতি তাঁর এক মন্তব্য চর্চায় উঠে এসেছে যেখানে তিনি বলেন, ‘আমি জানি কখন আমার ভালো সময় আসবে।’ যদিও পরে এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন শিবকুমার।

    সম্প্রতি কর্নাটকের লালবাগে এক জনসংযোগ অভিযানে শিবকুমার বলেন, ‘ভালো সময় আসবে।’ এরপরই জল্পনা শুরু হয় মন্ত্রিসভা রদবদলের। আগামী ১৩ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের নৈশভোজে ডেকেছেন। ফলে একে একে দুই হতে সময় লাগেনি। এরপরই শনিবার এই ইস্যুতে সরব হন শিবকুমার। মুখ্যমন্ত্রী পদে রদবদলের জল্পনা সম্পূর্ণ উড়িয়ে শিবকুমার বলেন, ”এই বিষয়ে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন ভালো সময় আসছে। আমি সম্মতি দিয়েছি মাত্র। আর কিছু নয়। কিছু সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। বিভ্রান্ত হওয়ার দরকার নেই। আমি জানি আমার সময় কখন আসবে। আমার সময় হল ২০২৮ সালে কর্নাটকে কংগ্রেস সরকারকে ফের ক্ষমতায় আনা। এটাই আমার অগ্রাধিকার।”

    এদিকে নৈশভোজ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াও মুখ খুলেছেন। মন্ত্রিসভায় রদবদলের জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে তিনি জানিয়েছেন এটি সাধারণ ঘটনা। সিদ্দারামাইয়া বলেন, “অনেকদিন হয়ে গিয়েছে, মন্ত্রীদের নিয়ে কোনও নৈশভোজ করা হয়নি। যার জন্যই এই পদক্ষেপ। মন্ত্রিসভার রদবদলের সঙ্গে নৈশভোজের কোনও সম্পর্ক নেই।”

    ২০২৩ সালে বিজেপিকে উৎখাত করে কর্নাটকে ক্ষমতায় এসেছিল কংগ্রেস। এর পর থেকেই দলীয় কোন্দলে নাজেহাল অবস্থা হাত শিবিরের। মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে সিদ্দারামাইয়ার পাশাপাশি উঠে আসেন ডিকে শিবকুমার। শেষ পর্যন্ত সিদ্দারামাইয়াকে শাসনভার দেওয়া হলেও এত সহজে দ্বন্দ্ব মেটেনি। সরকারের অন্দরে সংঘাতপর্ব উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে। এর সঙ্গেই গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো সামনে আসে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ। বিরাট জমি দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়ায় খোদ মুখ্যমন্ত্রীর। এই পরিস্থিতিতে সিদ্দারামাইয়ার হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে শিবকুমারের হাতে ক্ষমতা দেওয়ার দাবি ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামে কংগ্রেস হাইকমান্ড। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও, তা ছাইচাপা আগুনের মতো এখনও ধিকি ধিকি জ্বলছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
  • Link to this news (প্রতিদিন)