শুল্কযুদ্ধের মাঝেই মোদির সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত, কাটবে দু’দেশের সম্পর্কের জট?
প্রতিদিন | ১২ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমে বাণিজ্যচুক্তি না হওয়া এবং পরে রাশিয়া থেকে তেল কেনার ‘শাস্তি’ হিসাবে ভারতের উপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপর থেকেই দু’দেশের সম্পর্কে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সার্জিও গোর।
সূত্রের খবর, বৈঠকে বাণিজ্যচুক্তি, প্রতিরক্ষা এবং দুর্লভ খনিজ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে দু’জনের। সার্জিও তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘মোদির সঙ্গে আমার অসাধারণ একটি বৈঠক হয়েছে। দু’দেশের বাণিজ্যচুক্তি ছাড়াও একাধিক গুরুত্বরপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ অন্যদিকে, মোদিও মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, বছর আটত্রিশের সার্জিও ভারতে নিযুক্ত সবচেয়ে কম বয়সী মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মধ্যে একজন। সার্জিও-মোদির বৈঠকের পরেই কূটনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, সম্পর্কের জট কাটিয়ে শীঘ্রই কি তাহলে সম্পন্ন হতে চলেছে দু’দেশের বাণিজ্যচুক্তি?
ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়েছেন, রাশিয়া থেকে তেল কেনার শাস্তি হিসাবেই ভারতের উপর শুল্ক চাপানো হয়েছে। তবে ট্রাম্পের ট্রেজারি সেক্রেটারি জানান, কেবল রুশ তেল কেনা নয়, ভারত যেভাবে বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে ‘গড়িমসি’ করেছে, তার জেরেও বিরাট মাপের শুল্ক বসানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারত-মার্কিন বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলেছে। কিন্তু এখনও একমত হয়ে চুক্তি সই করতে পারেনি দু’পক্ষ। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, সেদেশের কর্পোরেট সংস্থাগুলির চাপে কৃষিপণ্য, মৎস্য এবং ডেয়ারি পণ্যের ভারতীয় বাজার উন্মুক্ত করতে চায় আমেরিকা। সেই শর্তে রাজি নয় ভারত। তার ফলেই আটকে রয়েছে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তি।