• প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গ, মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে ক্ষত সারাতে কোমর বেঁধে নামল প্রশাসন
    প্রতিদিন | ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে উত্তরবঙ্গ। বন্যা ও ভূমিধসে বিধ্বস্ত উত্তরের ক্ষত সারাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কোমর বেঁধে নামল রাজ্য প্রশাসন। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলিতে ত্রাণ পৌঁছনোর পাশাপাশি পরিকাঠামো নির্মাণে জোর দেওয়া হয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ শিবিরগুলিতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পানীয় জল ও স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করার।

    গত শনিবারের ভয়াবহ বৃষ্টি ও ধসের কারণে বিধ্বস্ত দার্জিলিং-কালিম্পং, সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রাণ হারান বহু মানুষ। এই ঘটনার পর উত্তরবঙ্গে গিয়ে নিজে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দেশ দেন যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার। সেই মতো জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে কাজ। জেলা প্রশাসনের তরফে সমস্ত ত্রাণ শিবিরে চিকিৎসার সুবিধা, পানীয় জল, খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। এলাকায় এলাকায় ঘুরে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলিকে চিহ্নিত করা হচ্ছে যাতে পুনরায় বাড়ি তৈরির জন্য স্বচ্ছতার সঙ্গে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায়। বিশেষ ক্যাম্প গঠন করে বন্যা ও ভূমিধ্বসে হারিয়ে যাওয়া নথিপত্র পুনরায় তৈরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সারাই করা হচ্ছে ভেঙে যাওয়া সমস্ত রাস্তাঘাট।

    শুধু তাই নয়, ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির কৃষকদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের মাধ্যমে ক্যাম্প তৈরি করে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করছে সরকার। নতুন করে বীজ ও কৃষি উপকরণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিতে আরও ৪৬টি (মোট ১৪৬টি) সুফল বাংলা মোবাইল আউটলেট তৈরি হয়েছে। যেখান থেকে শাকসবজি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যে সরবরাহ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ত্রাণ শিবিরগুলি মহিলাদের জন্য শৌচাগার, স্নানের জায়গা, সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছেন। উত্তরের ক্ষত সামাল দিতে মুখ্যসচিব-সহ অন্যান্য মন্ত্রী ও আধিকারিকরা নিয়মিত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)