পুজোর আমেজ কাটতে না কাটতেই ফের তৎপরতা বাড়িয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে একযোগে ১৩টি জায়গায় চালানো হয় তল্লাশি অভিযান। রাজ্যের দমকলমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা সুজিত বসুর অফিস ও রেস্তরাঁ-সহ একাধিক জায়গায় চলে এই অভিযান। এই অভিযান নিয়ে শনিবার রাতে বিবৃতি দিয়েছে ইডি।
ইডি-র অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডলে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ১০ অক্টোবর মোট ১৩টি স্থানে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এই অভিযানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে সম্পত্তি সংক্রান্ত কাগজপত্রও রয়েছে। পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে নগদ ৪৫ লক্ষ টাকা।’ তবে এই নগদ টাকা ঠিক কোথা থেকে বা কার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর ফলে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন, তদন্তকে কি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে?
এই বিষয়ে সুজিত বসুর প্রতিক্রিয়া, ‘প্রত্যেকবার ভোটের আগে এরা এই ধরনের তৎপরতা দেখায়। বাড়ি, অফিস সব জায়গায় আসে। এর আগেও এসেছিল, কিছুই পায়নি। এবারও পাবে না। শুধু ভোটের আগে চাপ তৈরি করতেই এই অভিযান।’ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ওরা আমাদের দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নিতাইয়ের বাড়িতেও গিয়েছে। এটা স্পষ্ট রাজনৈতিক চক্রান্ত। আমি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। অভিযোগ করলেই প্রমাণ হয়ে যায় না। জনগণ সব জানে। আমার সার্টিফিকেট আমি তাঁদের থেকেই পাই।’
উল্লেখ্য, পুর নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রোমোটার অয়ন শীল-সহ একাধিক ব্যক্তি। তাঁদের জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই তদন্তের গতিপথ ঠিক করছে ইডি। সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা ধীরে ধীরে দুর্নীতির মূল শিকড়ে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন তবে এই নতুন তল্লাশি ঘিরে রাজ্য-রাজনীতিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। শাসক দল একে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ বললেও, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাদের পদক্ষেপকে আইনানুগ ও তথ্যনির্ভর বলে দাবি করছে।