মৃত মহিলার নাম সুনীতা দেবী। বয়স ২৫ বছর। বছর পাঁচেক আগে বিকাশ কুমার নামে যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। বিয়ের পর সুনীতা ও তাঁর পরিবার জানতে পারে অভিযুক্তের আগের পক্ষের স্ত্রী রয়েছেন। যার সঙ্গে বিকাশের আইনি বিচ্ছেদ হয়নি। এই ঘটনা জানার পর দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা বাধে। অবশেষে আপসে ঝামেলা মিটিয়েও ফেলা হয়। বিকাশের সঙ্গে সংসার করছিলেন সুনিতা। দু’বার অন্তঃসত্ত্বাও হন তিনি। কিন্তু জন্মের পরপরই দুই সদ্যোজাতরই মৃত্যু হয়। এরপরই বিকাশ তাঁর প্রেমিকাকে বিয়ে করতে চান। তাতেই বাধা দেন সুনিতা। ঝামেলা প্রবল আকার নেয়। বাপের বাড়ি চলে যান সুনিতা। দুর্গাপুজোর আগে স্ত্রীকে ফেরাতে শ্বশুর বাড়িতে যান বিকাশ। বুঝিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন।
তারপরও ছোটখাটো ঝামেলা লেগেই ছিল। শনিবার রাতে ভাইয়ের মোবাইলে ফোন করেন সুনীতা। তিনি জানান, বিকাশ তাঁর গায়ে পেট্রোল ঢেলে উঠোনে আটকে রেখেছে। এরপর রান্নার গ্যাসের ভালভ খুলে সুনীতাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। মৃতার পরিবারের আরও অভিযোগ, তারা যখন বিকাশের বাড়ি যায় তখন বিকাশ ও তাঁর পরিবার সুনীতার মৃতদেহ দাহ করার পরিকল্পনা করছিল। তাঁদের দেখে পালিয়ে যায়। স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক অনিলকুমার পাণ্ডে বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ফরেনসিক দল নমুনা সংগ্রহ করেছে। ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহটি মহিলার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মৃতার শ্বশুরবাড়ির লোক পলাতক।