• অন্তত ১২ আসন না পেলে একা লড়াই, হুমকি ইন্ডিয়া শরিকের, মাথাব্যাথা বাড়ল তেজস্বীর
    প্রতিদিন | ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই যেন জটিল হচ্ছে বিহারের জোট সমীকরণ। এনডিএ শিবির যেখানে চিরাগ পাসওয়ান-জিতন রাম মাঝিদের নিয়ে নাস্তানাবুদ। সেখানে ইন্ডিয়া জোটের মাথাব্যাথা বাড়াচ্ছে সিপিআইএম লিবারেশন, জেএমএম। বিশেষ করে শেষ ল্যাপে এসে জেএমএমের ‘বেমক্কা’ আবদার নতুন করে ফ্যাসাদে ফেলেছে তেজস্বী যাদবকে।

    শনিবার বিহারে গিয়ে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার শীর্ষ নেতা সুপ্রিয় ভট্টাচার্য স্পষ্ট জানিয়ে এসেছেন, সম্মানজনক আসন না পেলে নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নেবে জেএমএম। আর সেই সিদ্ধান্ত যে আলাদা লড়াই করার সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিহারে ইন্ডিয়া জোটের জন্য ছোট শরিক হলেও জেএমএম গুরুত্বপূর্ণ। ঝাড়খণ্ড লাগোয়া কিছু আদিবাসী অধ্যুষিত আসনে ভালো প্রভাব রয়েছে হেমন্ত সোরেনের দলের। ফলে জেএমএম জোট ছেড়ে বেরিয়ে গেলে ভালো ধাক্কা খেতে পারে ইন্ডিয়া। তাই তাঁদের গুরুত্ব দিয়ে ভাবতেই হচ্ছে।

    কিন্তু জেএমএম যে ‘সম্মানজনক’ আসনের দাবি করছে সেটাও আরজেডির পক্ষে মানা কঠিন। জেএমএম নেতা সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলছেন, “ঝাড়খণ্ডে আমরা ২০১৯-এ আরজেডিকে ৭ আসন ছেড়েছিলাম। ২০২৪-এ ছেড়েছিলাম ৫ শতাংশ অর্থাৎ ৬টি আসন। সেই হিসাবে অন্তত ১২ আসন পাওয়া উচিত।” সমস্যা হল, অন্য শরিকদের দাবি সামলাতে এমনিতেই নাস্তানাবুদ আরজেডি। প্রাথমিকভাবে জেএমএমের জন্য ৩-৪ আসনের কথা ভেবে রেখেছে মহাজোট। কোনওভাবেই সংখ্যাটা পাঁচের বেশি হবে না।

    প্রাথমিকভাবে যা খবর তাতে এবার বামেরাও বেশি আসন দাবি করছে তেজস্বীর কাছে। নেতৃত্বের দাবি গতবার ২৯টি আসনে লড়াই করে ১৬টি আসনে জয়ী হয় তারা। অর্থাৎ স্ট্রাইক রেটে সকলের থেকে এগিয়ে। গতবারের ২৯-এর বদলে এবার ৪০টি আসন দাবি করেছে বামেরা। কংগ্রেস গতবারের থেকে ১২টি কম আসনে লড়াই করতে রাজি হলেও জোটে নতুন করে যোগ দেওয়া ভিআইপির দাবি মেটাতে হবে। প্রাথমিকভাবে যা আরজেডি ঠিক করেছে সেটা হল, তারা নিজেরা লড়বে ১৩০-১৩৫ আসনে। কংগ্রেস ৫৮ আসনে। বামেদের ছাড়া হবে ২৫-২৬ আসন। ভিআইপি ১৫-১৬ আসনে লড়তে পারে। বাকি আসন ভাগ হবে পশুপতি পারস এবং জেএমএমের মধ্যে। সেখান থেকে জেএমএমকে কটা আসন দেওয়া হয় এবং তাতে তারা সন্তুষ্ট হয় কিনা সেটাই দেখার।
  • Link to this news (প্রতিদিন)