• দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়ার ‘গণধর্ষণে’ পুলিশের জালে ৩, ড্রোন উড়িয়ে বাকি অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি
    প্রতিদিন | ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়ার গণধর্ষণের অভিযোগে তোলপাড়। এখনও পর্যন্ত পুলিশের জালে ৩ জন। ধৃতদের রবিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় জড়িত ৫ জন। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে পরাণগঞ্জ কালীবাড়ি শ্মশান লাগোয়া জঙ্গলে ড্রোন উড়িয়ে চলছে তল্লাশি।

    এখনও পর্যন্ত হাসপাতালেই ভর্তি ওই নির্যাতিতা ডাক্তারি পড়ুয়া। শনিবারই তাঁর সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আসানসোল দুর্গাপুর ডেপুটি কমিশনারের সামনে গোপন জবানবন্দিও দেন পড়ুয়া। ‘অভিশপ্ত’ রাতে ঠিক কী ঘটেছিল, তার বিস্তারিত বিবরণ দেন নির্যাতিতা। রবিবার দুর্গাপুরে রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের যাওয়ার কথা। যেতে পারেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের প্রতিনিধিরাও।

    ঘটনা শুক্রবার রাতে। দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ‘নির্যাতিতা’ তরুণী ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা। কলেজের হস্টেলে থাকেন তিনি। ঘটনা পরম্পরা নিয়ে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে এক বন্ধুর সঙ্গে খাবার খেতে গিয়েছিলেন ওই ছাত্রী। অভিযোগ, সেই সময় জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। নির্যাতিতার বাবা বলেন, “রাত ১০টা নাগাদ ওর বন্ধু আমাকে ফোন করেছিল। এখানে চলে আসি তাড়াতাড়ি। সাড়ে ৯টা নাগাদ একটা ছেলে খাবার খেতে আমার মেয়েকে গেটের কাছে নিয়ে গিয়েছিল। ২-৩ জন চলে আসে। ছেলেটা ছেড়ে পালিয়ে যায়। সেই সময় একজন আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। মোবাইল কেড়ে নেয়। ৩ হাজার টাকা দাবি করে। দিতে পারেনি। পরে ছেলেটা আবার ঘটনাস্থলে ফিরে আসে। সেই সময় ৪-৫ অপরিচিত যুবক ছিল। তাদের হাতে ৩০০ টাকা ছিল দিয়েছিল। রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেয়ে। তখন মেয়েকে নিয়ে ওই ছেলেটা ফেরে।”
    পরাণগঞ্জ কালীবাড়ি শ্মশান লাগোয়া জঙ্গল থেকে ওই বেসরকারি কলেজের দূরত্ব মাত্র ১ কিলোমিটার। সেখানে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উঠছে প্রশ্ন। তরুণীর সহপাঠীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)