সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলায় নারী নিরাপত্তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। তবে তা সত্ত্বেও সাম্প্রতিকতম অতীতে নারী নির্যাতনের ঘটনায় ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি পুলিশের। যত দ্রুত সম্ভব চার্জশিট পেশ করে সাজা দেওয়া হয়েছে দোষীকে। দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়ার ‘গণধর্ষণে’র ঘটনায় কোনও রেয়াত করা হবে না বলেই আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের একটি বিবৃতি শেয়ার করে জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ।
X হ্যান্ডলে জানানো হয়েছে, “দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে এমবিবিএস পড়ুয়ার উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনায় আমরা মর্মাহত। আমরা কথা দিচ্ছি কোনও দোষী রেয়াত পাবে না। শাস্তি পাবে প্রত্যেকে। নির্যাতিতার কষ্ট যতটা ওড়িশার, ততটাই আমাদের। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া গুজবে কান দেবেন না। নির্যাতিতা ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন। পরিবারকে সবরকম সাহায্য করা হচ্ছে। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের জিরো টলারেন্স নীতি।” বলে রাখা ভালো, ইতিমধ্যে পুলিশ এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। বাকিদের খোঁজে পরাণগঞ্জ কালীবাড়ি শ্মশান লাগোয়া জঙ্গলে ড্রোন উড়িয়ে চলছে তল্লাশি। জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ‘নির্যাতিতা’ তরুণী ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা। কলেজের হস্টেলে থাকেন তিনি। ঘটনা পরম্পরা নিয়ে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে এক বন্ধুর সঙ্গে খাবার খেতে গিয়েছিলেন ওই ছাত্রী। অভিযোগ, সেই সময় জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। নির্যাতিতার বাবা বলেন, “রাত ১০টা নাগাদ ওর বন্ধু আমাকে ফোন করেছিল। এখানে চলে আসি তাড়াতাড়ি। সাড়ে ৯টা নাগাদ একটা ছেলে খাবার খেতে আমার মেয়েকে গেটের কাছে নিয়ে গিয়েছিল। ২-৩ জন চলে আসে। ছেলেটা ছেড়ে পালিয়ে যায়। সেই সময় একজন আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। মোবাইল কেড়ে নেয়। ৩ হাজার টাকা দাবি করে। দিতে পারেনি। পরে ছেলেটা আবার ঘটনাস্থলে ফিরে আসে। সেই সময় ৪-৫ অপরিচিত যুবক ছিল। তাদের হাতে ৩০০ টাকা ছিল দিয়েছিল। রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেয়ে। তখন মেয়েকে নিয়ে ওই ছেলেটা ফেরে।” পরাণগঞ্জ কালীবাড়ি শ্মশান লাগোয়া জঙ্গল থেকে ওই বেসরকারি কলেজের দূরত্ব মাত্র ১ কিলোমিটার। সেখানে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উঠছে প্রশ্ন। প্রশ্নের মুখে কলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।