সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজো মিটতে না মিটতেই পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তৎপর ইডি। গত ১০ অক্টোবর সকাল থেকে ‘অ্যাকশনে’ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। টানা ১২-১৩ ঘণ্টা ধরে রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর অফিস-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযানে কী পেল ইডি? বিবৃতি জারি করে সে তথ্য দিলেন তদন্তকারীরা।
অফিসিয়াল X হ্যান্ডলে ইডির তরফে জানানো হয়েছে, “গত ১০ অক্টোবর পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে মোট ১৩টি জায়গায় তল্লাশি অভিযানে নামেন আধিকারিকরা। মন্ত্রী সুজিত বসুর অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশি অভিযাবে নানা নথিপত্র পেয়েছি। তার মধ্যে কিছু সম্পত্তির নথিপত্রও রয়েছে। নগদ ৪৫ লক্ষ টাকাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।” যদিও কার কাছ থেকে বা কোথা থেকে এই টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা বিজ্ঞপ্তিতে জানায়নি ইডি। স্বাভাবিকভাবেই এই তল্লাশিতে ঠিক কার বা কাদের বাড়ি থেকে ওই নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে তা নিয়ে ধন্দ থাকছেই। এর নেপথ্যে ইডির উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
উল্লেখ্য, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দীর্ঘদিন ধরেই তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। অয়ন শীল-সহ একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। তাঁদের জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধীরে ধীরে রহস্যের শিকড়ের কাছাকাছি পৌঁছচ্ছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে ফের পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তে কলকাতার একাধিক জায়গায় হানা দেন ইডির অফিসাররা। যান মন্ত্রী সুজিত বসুর সল্টলেকের অফিস ও রেস্তরাঁয়ও। তবে বিষয়টাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ সুজিত। তাঁর কথায়, “প্রত্যেকবার ভোটের আগেই ওরা এটা করে। বাড়ি, অফিস সব জায়গায় যায়। আগেও রেড করে কিছু পায়নি। ভোটের আগে চাপ তৈরি করতে এসব করে।” সুজিত বসু আরও বলেন, “ওরা নিতাইয়ের (দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা কাউন্সিলর) বাড়িতেও গিয়েছে। রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে।” দমকল মন্ত্রীর সাফ কথা, তিনি দুর্নীতি করেননি। অভিযোগ তো অনেকেই করেন। কিন্তু প্রমাণ তো করতে হবে। মানুষ সবটা জানে। মানুষই তাঁর সার্টিফিকেট।