ধর্ষণেও ‘বিশেষ’ নাম উল্লেখ বিজেপির, পাল্টা তৃণমূলেরও
আনন্দবাজার | ১২ অক্টোবর ২০২৫
ধর্ষণের মতো অপরাধের ক্ষেত্রেও অভিযুক্তদের নামের কথা উল্লেখ করে ‘বিশেষ সম্প্রদায়ে’র দিকে ইঙ্গিত করল বিজেপি! উত্তরবঙ্গে দলীয় জনপ্রতিনিধিদের উপরে হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেস বার বার নানা জায়গায় বিশেষ সম্প্রদায়কে লেলিয়ে দিচ্ছে বলে সরব হয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। এ বার পশ্চিম বর্ধমানে ‘গণধর্ষণ’ এবং জলপাইগুড়িতে ‘ধর্ষণে’র মতো অভিযোগকে সামনে রেখে রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে গিয়ে কার্যত একই সুর শোনা গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখে। কোনও বিশেষ সম্প্রদায়ের কথা আলাদা করে উল্লেখ না-করলেও, তিনি রাজ্যে নারী নির্যাতনের নির্দিষ্ট কয়েকটি অভিযোগের সূত্রে অভিযুক্তদের নাম বলে সরব হয়েছেন। অপরাধের সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক কোথায়, তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলে শুভেন্দুকে নিশানা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস-সহ সংশ্লিষ্ট নানা মহল।
জলপাইগুড়ি, দু’বছর আগে উত্তর দিনাজপুরের এক এলাকায় নারী নির্যাতনে অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করে শনিবার দলের রাজ্য দফতর মুরলীধর সেন লেন থেকে বিরোধী দলনেতা বলেছেন, “এরা (অভিযুক্তেরা) রাজ্যের আনাচেকানাচে বেপরোয়া ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কামদুনি মামলাতেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিআইডি ১৫টা আইনজীবী বদলে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। তাদের বাড়ির চার পাশে পুলিশের পাহারা বসিয়েছে।” এই অবস্থার বদলাতে উত্তরপ্রদেশের মতো বাংলাতেও ‘যোগী আদিত্যনাথ-রাজ’ জরুরি বলে ফের দাবি করেছেন শুভেন্দু।
বিজেপি-শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিয়ে পাল্টা সরব হয়েছে তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, “অপরাধের সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক কোথায়? এটা বিজেপি-শাসিত রাজ্য নয়। এখানে ধর্ম দেখে দোষীদের জেল থেকে বার করে মালা পরানো হয় না।” রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজাও বলেছেন, “পুলিশের তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তার আগে যাঁরা রাজনৈতিক মন্তব্য করছেন, তাঁদের মনে করিয়ে দেব, বিজেপি-শাসিত ওড়িশায় এমন একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে এক ছাত্রী গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন।”