কলকাতা পুলিশের ঝুলিতে ক্যামেরাযুক্ত ব্রেথ অ্যানালাইজ়ার যন্ত্র
আনন্দবাজার | ১২ অক্টোবর ২০২৫
মত্ত অবস্থায় চালক গাড়ি চালাচ্ছেন কিনা, তা জানার জন্য ব্যবহার করা হয় ব্রেথ অ্যানালাইজ়ার। আর তা ব্যবহার করার সময়ে চালকের যাতে কোনও আপত্তি না থাকে, সে জন্য চালু হয়েছে স্পর্শমুক্ত ব্রেথ অ্যানালাইজ়ার। গোটা প্রক্রিয়াকে ক্যামেরা-বন্দি করে রাখার জন্য এ বার কলকাতা পুলিশ কিনতে চলেছে ক্যামেরাযুক্ত, স্পর্শমুক্ত ব্রেথ অ্যানালাইজ়ার। সূত্রের খবর, এখন কলকাতা পুলিশের হাতে কয়েকটি ওই ব্রেথ অ্যানালাইজ়ার রয়েছে। তবে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা খরচ করে ২৬টি গার্ডের জন্য আরও ৫০টি ওই যন্ত্র কেনা হচ্ছে। সঙ্গে থাকবে পরীক্ষার ফলফল জানার জন্য প্রিন্টারও। যা কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে লালবাজার।
পুলিশ কর্তাদের আশা, বছর শেষের আগেই ওই ক্যামেরাযুক্ত, স্পর্শমুক্ত ব্রেথ অ্যানালাইজ়ার বাহিনীর হাতে চলে আসবে। প্রসঙ্গত, প্রতিরাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান চলায় ট্র্যাফিক পুলিশের বিভিন্ন গার্ড। লালবাজারের হিসেব অনুযায়ী, শারদোৎসবের চতুর্থী থেকে দশমী পর্যন্ত অভিযানে পুলিশ ৮৫০ মত্ত চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।
মত্ত চালকদের চিহ্নিত করতে ট্র্যাফিক গার্ডের পাশাপাশি থানাগুলিকেও স্পর্শমুক্ত ব্রেথ অ্যানালাইজ়ার দিয়েছিল লালবাজার। উপর মহল থেকে নির্দেশ পেলে যা দিয়ে এখন মত্ত চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়ে থাকে। তবে মত্ত চালকদের বিরুদ্ধে মূল অভিযান চালিয়ে থাকেন ট্র্যাফিক গার্ডের কর্মীরা। সেখানে পরীক্ষা করার সময়ে চালকদের সঙ্গে পুলিশকর্মীদের বচসা বা বিবাদ যাতে না হয়, সে জন্য কিছু ট্র্যাফিক গার্ডে ক্যামেরাযুক্ত ও স্পর্শমুক্ত ব্রেথ অ্যানালাইজ়ার দেওয়া হয়েছিল। তার বেশ কয়েকটি খারাপ হয়ে গিয়েছে।
এ ছাড়াও, পুলিশ এত দিন নিজেদের বডি ক্যামেরার সাহায্যে পুরো প্রক্রিয়া রেকর্ডিং করে রাখত। পুলিশ সূত্রের দাবি, নতুন এই যন্ত্র ব্যবহার করলে চালকদের সঙ্গে বিবাদ কম হবে। ক্যামেরায় পুরো প্রক্রিয়া রেকর্ডিং করা থাকলে সহজেই তা দেখে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন পুলিশ আধিকারিকেরা। নতুন এই ব্রেথ অ্যানালাইজ়ারের ব্যাটারি একবার পুরো চার্জ দিলে তা ২৪ ঘণ্টা থাকবে। এমনকি, তাতে রেকর্ডিংও সংরক্ষণ করা যাবে।