• কালীপুজোর থিমে মহানায়ক, সৌজন্যে মধ্যমগ্রামের রবীন্দ্রপল্লি ইয়ং অ্যাসোসিয়েশন
    এই সময় | ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • আশিস নন্দী, মধ্যমগ্রাম

    বাংলা চলচ্চিত্রের সর্বকালের সেরা নায়ক বললে প্রথমেই উত্তম কুমারের নাম উচ্চারিত হয়। তিনিই বাঙালির অন্যতম সেরা 'আইকন'। যাঁকে নিয়ে বাঙালি আজও আবেগে ভাসে। মহানায়ক উত্তম কুমারকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে কালীপুজোর মণ্ডপ তৈরি করছে মধ্যমগ্রামের রবীন্দ্রপল্লি ইয়ং অ্যাসোসিয়েশন। তাদের এবারের থিম, ভাবনায় শতবর্ষে মহানায়ক।

    মধ্যমগ্রামের এই নামকরা কালীপুজোর উদ্যক্তারা জানাচ্ছেন, এ বছরে তাঁদের মণ্ডপ জুড়ে থাকছে মহানায়কের অভিনীত বাংলা হিট ছবির খণ্ডচিত্র-সহ মহানায়কের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিশেষ মুহূর্তের ছবি। মণ্ডপের ভিতরে ঢুকলেই দর্শনার্থীরা লাইট, সাউন্ড, ক্যামেরা, অ্যাকশনের মাধ্যমে শুনতে পাবেন মহানায়কের জনপ্রিয় সব সংলাপ। তার সঙ্গে সুপারহিট গান।

    তার মধ্যে থাকবে সাড়ে চুয়াত্তর, শাপমোচন, অমানুষ, আনন্দ আশ্রম, হারানো সুর, চাওয়া পাওয়া, সপ্তপদী, জীবনতৃষ্ণা, নায়ক ছবির সংলাপ ও গান। সোদপুর রোডের ফ্লাইওভারের কাছেই প্রায় ১৬০০ বর্গফুট জায়গা জুড়ে তৈরি হচ্ছে সুবিশাল মণ্ডপ। মণ্ডপের সর্বত্রই চোখে পড়বে মহানায়কের অভিনীত বিভিন্ন জনপ্রিয় বাংলা ছায়াছবির দৃশ্য। তার সঙ্গে থাকবে উত্তমকুমারের বিভিন্ন মুডের ছবি। মণ্ডপ শিল্পী মানস ভট্টাচার্য। আগামী ১৯ অক্টোবর এই মণ্ডপ উদ্বোধন করবেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ।

    মানস বলেন, 'মহানায়ক উত্তমকুমার বাঙালিদের কাছে নস্টালজিক। তাঁর অভিনীত ছবি দেখার জন্য এখনও দর্শকরা পাগল। এমন একজন বাঙালিকে নিয়ে কাজ করতে পেরে আমি নিজেও খুব আপ্লুত। আশা করছি, দর্শকদের ভালো লাগবে।' পুজো কমিটির কর্তা ভাস্কর সাহা বলেন, 'ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে বাঙালিরা চূড়ান্ত হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। বাইরের রাজ্যগুলিতে বাংলা এবং বাঙালি বিদ্বেষ সামনে চলে আসছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা এমন একজন বাঙালিকে কালীপুজোর মণ্ডপে তুলে ধরছি, যিনি গোটা বিশ্বজুড়ে বাঙালিদের হৃদয়ে রয়েছেন।'

    মধ্যমগ্রামের ইয়ং রিক্রিয়েশন ক্লাবের কালীপুজোর মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে থাইল্যান্ডের বিখ্যাত গোল্ডেন টেম্পলের আদলে। মধ্যমগ্রামের চৌমাথা সংলগ্ন সুভাষ ময়দানে জোর কদমে চলছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। এখানকার উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, মধ্যমগ্রামের ইয়ং রিক্রিয়েশন ক্লাবের পুজো মণ্ডপে এলে দর্শনার্থীরা থাই সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন। মণ্ডপের উচ্চতা প্রায় ৮০ ফুট। চওড়ায় ৯০ ফুটের মতো। মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই তৈরি হয়েছে প্রতিমা। তার সঙ্গে থাকছে চন্দননগরের চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা।

    পুজো কমিটির কর্তা কৌশিক মুখোপাধ্যায় বলেন, 'ফাইবার, প্লাই এবং বিভিন্ন ধরনের রং ব্যবহার করে তৈরি হচ্ছে ব্যাঙ্ককের গোল্ডেন টেম্পল। মধ্যমগ্রামের বহু মানুষ আছেন, যাঁরা অর্থ খরচ করে থাইল্যান্ডে গিয়ে গোল্ডেন টেম্পল দর্শন করতে পারেন না। তাঁদের কথা ভেবেই গোল্ডেন টেম্পলের আদলে মণ্ডপ তৈরি করছি আমরা। আমাদের বিশ্বাস দর্শনার্থীরা এই মণ্ডপে এলে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে পারবেন।'

  • Link to this news (এই সময়)