• বিড়ি চাইতে গিয়ে সব শেষ! মদের আসরের ছোট্ট বচসা থেকেই মর্মান্তিক পরিণতি ২৬ বছরের তরুণের ...
    আজকাল | ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিড়ি চাইতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি। বিড়ি না পেয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ২৬ বছরের এক তরুণ। এই বচসার জেরেই ভয়ঙ্কর পরিণতি। পরিকল্পনামাফিক তাঁকে খুন করে ড্রেনে ভাসিয়ে দিল কয়েকজন। যদিও ধামাচাপা থাকল না ঘটনাটি। খুনের কয়েকদিন পরেই পুলিশি হেফাজতে তিন অভিযুক্ত। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে রাইপুরের অভনপুরের আমনের গ্রামে। বৃহস্পতিবার ২৬ বছর বয়সি সোনু পালকে হত্যার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গোদা পুলের কাছে একটি ড্রেনে সোনুর দেহ ভাসতে দেখা গিয়েছিল চলতি সপ্তাহে। 

    পুলিশ আরও জানিয়েছে, অভিযুক্তরা হল, সুমিত, অজয় ও গুলশান। তাদের প্রত্যেকের বয়স ২৬ বছরের আশেপাশে। দীর্ঘ পুলিশি জেরায় খুনের ঘটনাটি স্বীকার করে নিয়েছে সকলে। চলতি সপ্তাহে ড্রেনে দেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিয়েছিলেন। তরুণের দেহে ও মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল স্পষ্ট।‌ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। 

    পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে মৃত তরুণকে শনাক্ত করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার আগেরদিন রাতে অভনপুরে এক মদের দোকানের বাইরে বসে মদ্যপান করছিলেন সোনু। সেখানেই অভিযুক্তদের সঙ্গে বচসা হয় তাঁর। যার শেষমেশ ভয়ঙ্কর পরিণতি ঘটে। 

    জানা গেছে, সোনু আলাদাই মদ্যপান করছিলেন। অভিযুক্তদের কাছে গিয়ে একটি বিড়ি চেয়েছিলেন। কিন্তু বিড়ি দিতে রাজি হয়নি অভিযুক্তরা। তখনই ওই তরুণদের সঙ্গে ঝামেলা শুরু করে সোনু। কিছুক্ষণ পর সোনুকে আরও নেশাদ্রব্য দেওয়ার টোপ দিয়ে নির্জন এলাকায় নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। সেখানেই সোনুকে ব্যাপক আঘাত করে খুন করে তারা। দেহটি সেই ড্রেনে ফেলে পালিয়েও যায়। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর অবশেষে পুলিশের জালে অভিযুক্ত তিন তরুণ। 

    প্রসঙ্গত, বিড়ি খেতে গিয়েই আরও এক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছিল চলতি বছরে জুন মাসে। ফাঁকা বাড়ি। নিষেধ করার কেউ নেই। এই সুযোগে বিছানায় শুয়েই বিড়ি খাচ্ছিলেন ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ। কয়েক সেকেন্ড পরেই বিপদ ঘনালো। বিড়ি থেকেই আগুন ছড়াল জামায়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রাণ গেল অসুস্থ বৃদ্ধের। তাঁর মৃত্যুতে হতবাক পরিবার থেকে এলাকার বাসিন্দারা। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের ভান্ডারা জেলার বিদর্ভের মানেগাঁও গ্রামে‌। পুলিশ জানিয়েছে, বৃদ্ধ দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে দীর্ঘ পাঁচ বছর তিনি শয্যাশায়ী। বাড়ির লোকেরাই তাঁর দেখভাল করতেন। মঙ্গলবার বাড়ির লোকেরা বাইরে গিয়েছিলেন কিছুক্ষণের জন্য। সেই সময়েই দুর্ঘটনাটি ঘটে। 

    জানা গেছে, বাড়িতে কেউ ছিলেন না বলে বিছানায় শুয়েই বিড়ি খাচ্ছিলেন বৃদ্ধ। হঠাৎ বিড়ি থেকেই তাঁর জামায় আগুন ধরে যায়। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে গায়ে, বিছানাতেও। পালাতে চাইলেও উপায় ছিল না। বিছানায় শুয়েই অগ্নিদগ্ধ হন তিনি। রাতেই বাড়ি ফিরে ভয়ঙ্কর দৃশ্যটি দেখেন পরিবারের সদস্যরা। তড়িঘড়ি পুলিশে খবর দেন তাঁরা। 

    ঘটনাস্থলে পৌঁছে বৃদ্ধের দগ্ধ দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।‌ সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। ঘটনার তদন্ত জারি রেখেছে। বিড়িতে সুখটান দিতে দিয়ে বৃদ্ধের ভয়ঙ্কর পরিণতিতে এলাকাতেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। 
  • Link to this news (আজকাল)